প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন

লেখক:
প্রকাশ: ৪ years ago

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবসে দিনব্যাপি বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। বুধবার (১৭ মার্চ) সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে মন্ত্রণালয় প্রাঙ্গণে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন ও জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু করা হয়।

পতাকা উত্তোলন শেষে সিনিয়র সচিব ড. মো. আবু হেনা মোস্তফা কামাল সহকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘরে স্থাপিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে জাতির পিতার ১০১তম জন্মদিন উপলক্ষে কেক কাটা হয়।

এরপর অতিরিক্ত সচিব জনাব মো. আবু বকর ছিদ্দিকের সভাপতিত্বে ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২১’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত।

সভায় বক্তারা টুঙ্গিপাড়ার প্রত্যন্ত অঞ্চলে জন্ম নেয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খোকা থেকে জাতির পিতা ও বিশ্বনেতা হয়ে ওঠার প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন। তারা বলেন, বঙ্গবন্ধু সারাজীবন এ দেশের মাটি ও মানুষের অধিকার আদায় এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক মুক্তির জন্য সংগ্রাম করেছেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. আবু হেনা মোস্তফা কামাল বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০১তম জন্মদিন বাঙালি জাতির জন্য এক মাহেন্দ্রক্ষণ। এ বছর মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে জাতির পিতার জন্মদিন উদযাপন সকলের কাছে অনন্য ঐতিহাসিক মাত্রা যোগ করেছে।

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে হয়তো আজও এ দেশ স্বাধীন হতো না। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে সকল আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা ছিল অগ্রণী ও অপরিসীম। ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ’৫৪ এর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ’৬২ এর শিক্ষা আন্দোলন, ’৬৬ এর ছয়দফা আন্দোলন, ’৬৯ এর গণ-অভ্যুত্থান পেরিয়ে’ ৭০ সালের ঐতিহাসিক নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন এবং সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে দেশের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। বিশ্ব রাজনৈতিক পরিমণ্ডলেও তিনি ছিলেন জনপ্রিয়। বঙ্গবন্ধু ছিলেন একজন দূরদর্শী কুটনৈতিক। তার অবস্থান ছিল সবসময় শোষণ ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে। বিশ্ব মানবতার জন্য তার ভালোবাসা ছিল প্রবল। বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় তার প্রচেষ্টা ছিল নিরন্তর।

আলোচনা সভা শেষে মন্ত্রণালয়ের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর উপস্থিতিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনভিত্তিক ভিডিও ক্লিপিংস প্রর্দশন করা হয়। পরে মন্ত্রণালয়ের গ্রন্থাগারে স্থাপিত ‘মুজিব কর্নার’ এবং ‘মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা সম্পর্কিত ডকুমেন্টেশন সেন্টার’ এর উদ্বোধন করা হয়। বাদ জোহর গণভবন জামে মসজিদে বিশেষ মোনাজাতের মধ্যে দিয়ে দিনের কর্মসূচির সমাপ্তির ঘোষণা করা হয়।