গত ৭ অক্টোবরের হামাসের হামলার জন্য প্রতিরক্ষা বাহিনী ও দেশীয় গোয়েন্দা সংস্থার ব্যর্থতাকে দায়ী করায় তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তার ওই মন্তব্যে এরই মধ্যে ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন জরুরি মন্ত্রিসভায় ভাঙন দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছে দ্য জেরুজালেম পোস্ট। এমনকি, ওই মন্তব্যের জেরে সৃষ্টি রাজনৈতিক উত্তাপের মুখে ক্ষমাও চেয়েছেন নেতানিয়াহু।
দ্য জেরুজালেম পোস্ট জানিয়েছে, রোববার (২৯ অক্টোবর) স্থানীয় সময় রাত ১টার দিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে গোয়েন্দাদের ব্যর্থতার কারণেই হামাস হামলা করতে পেরেছে বলে দাবি করেন নেতানিয়াহু। আর এ ব্যর্থতার জন্য সামরিক বাহিনী ও অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীর প্রধানের দিকে আঙুল তোলেন তিনি।
নিজের ওই মন্তব্যের জন্য যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার বৈঠকে ব্যাপক তোপের মুখে পড়েন তিনি। তাছাড়া প্রতিরক্ষা বাহিনীর সঙ্গে নেতানিয়াহুর বিবাদ থাকার বিষয়টি সবার সামনে চলে আসে। পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল হতে শুরু করায় এক্সে দেওয়া ওই পোস্ট ডিলিট করে দেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী। পরে সামরিক বাহিনী ও মন্ত্রিসভার সদস্যদের কাছে ক্ষমা চান তিনি।
এক্স পোস্টে নেতানিয়াহু লেখেন, আমার ভুল হয়েছে। হামাসের হামলা নিয়ে আমি যা বলেছিলাম, তা আসলে বলা উচিত হয়নি। এ কারণে আমি ক্ষমা চাই।
এদিকে, তিন সপ্তাহ ধরে গাজায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সঙ্গে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৮ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যার মধ্যে শিশুর সংখ্যা প্রায় ৩ হাজার। আর আহত ১৭ হাজারের বেশি মানুষ।
এরই মধ্যে স্থল অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। হামাসের অনেক টানেল ধ্বংস করার দাবিও করেছে তারা।
এদিকে ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত হামলায় অবরুদ্ধ গাজার স্বাস্থ্যখাত পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও ওষুধের অভাবে প্রতিদিনই বাড়ছে প্রাণহানির সংখ্যা। শয্যা খালি না থাকায় নতুন রোগীও নিতে পারছে না হাসপাতালগুলো। ইসরায়েলি নির্দেশনা মোতাবেক, নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য গাজার দক্ষিণাঞ্চলে গিয়েও হামলার শিকার হচ্ছেন বাস্তুচ্যুতরা।
সূত্র: জেরুজালেম পোস্ট