২০২৩ বিশ্বকাপে ভারতের ৬ ভেন্যুতে ৯টি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। দুটি করে ম্যাচ আছে ধর্মশালা, পুনে ও কলকাতায়। এছাড়া চেন্নাই, মুম্বাই ও দিল্লিতে অপর তিন ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। ৭ অক্টোবর ধর্মশালায় আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ যাত্রা শুরু হবে। ১২ নভেম্বর পুনেতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশ খেলবে নিজেদের শেষ ম্যাচ।
এছাড়া প্রতিযোগিতা শুরুর আগে গৌহাটি বা তিরুবনন্তপুরমে প্রস্তুতি ম্যাচও খেলবে বাংলাদেশ। সব মিলিয়ে টুর্নামেন্ট চলাকালীন এই শহর থেকে ওই শহরে প্রচুর ভ্রমণ করা লাগবে বাংলাদেশের। অবশ্য সব দলের জন্যই প্রায় একই সূচি করেছে আয়োজকরা।
অনেক অপেক্ষা ও আলোচনা-সমালোচনার পর অবশেষে মঙ্গলবার দুপুরে ২০২৩ বিশ্বকাপের সূচি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করে আইসিসি। মুম্বাইয়ের একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলেন সূচি ঘোষণা করা হয়। নিজেদের সূচি ও টুর্নামেন্ট নিয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল।
আইসিসির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দেওয়া তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তামিম বলেছেন, ‘এটা সবচেয়ে বড় আয়োজন। ওয়ানডে বিশ্বকাপের সঙ্গে কোন কিছুর তুলনা চলে না। কারণ, সাদা বলের এই প্রতিযোগিতা প্রতিনিয়ত আপনার ম্যাচ সচেতনতা ও ধৈর্য্যর পরীক্ষা নেবে।’
‘যে ছকে প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হচ্ছে তাতে আলগা মনোভাব দেখানোর সুযোগ নেই। প্রতিটি দল শক্তিশালী এবং সহজ বলতে কোন ম্যাচ নেই।’
‘ভারতে খেলা সব সময়ই আনন্দের। মাঠের উন্মাদনা, দুর্দান্ত স্টেডিয়াম এবং জ্ঞানী ক্রিকেট ভক্তরা অভিজ্ঞতাকে পরিপূর্ণ করে তোলে। আমরা সব সময়ই সেখানে খেলে ভালো সমর্থণ পেয়ে থাকি।’ – যোগ করেন তামিম।
২০১৯ বিশ্বকাপে বড় স্বপ্ন নিয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। শুরুটাও হয়েছিল দুর্দান্ত। দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হয়েছিল। এরপর জয় পেয়েছিল আফগানিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেও। কিন্তু শ্রীলঙ্কার সঙ্গে বৃষ্টিতে পয়েন্ট ভাগাভাগি, নিউ জিল্যান্ডকে হারানোর সুযোগ হারানোর সঙ্গে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, ভারত ও পাকিস্তানের সঙ্গে পেরে না উঠায় সেমিফাইনাল খেলা হয় না বাংলাদেশের।
চার বছরে দেশের ক্রিকেটের মান বেড়েছে। আইসিসি ওয়ানডে সুপার লিগে তিনে থেকে বাংলাদেশ শেষ করেছে। সরাসরি খেলতে পারছে বিশ্বকাপ। এবার প্রস্তুতি আরও জমাট এবং অভিজ্ঞতা আগে থেকে বেড়েছে। নিজেদের সর্বোচ্চ সাফল্য পাওয়ার বড় সুযোগ দেখছেন তামিম, ‘যে দলটাকে নিয়ে আমরা বিশ্বকাপে যেতে চাই তাদের নিয়ে আমি আত্মবিশ্বাসী। ওয়াডেতে আমরা খুব ভালো পারফর্ম করে আসছি এবং বিশ্বকাপ কোয়ালিফাইংয়ে আমরা শুরুর দলগুলোর পাশেই আছি। অভিজ্ঞতা ও তারুণ্যের দারুণ মিশেল রয়েছে এবং কন্ডিশন অনেকটাই পরিচিত।’
৪৬ দিনের এই প্রতিযোগিতার জন্য ৮ দল সরাসরি নির্বাচিত হয়েছে। দুটি দল বাছাইপর্ব পেরিয়ে আসবে। রাউন্ড রবিন লিগে মোট ৪৫ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। যেখানে দিনের খেলা আছে ছয়টি। যেগুলো বাংলাদেশ সময় ১১টায় শুরু হবে। এছাড়া বাকি ৩৯ ম্যাচ হবে দিবারাত্রির। বাংলাদেশ সময় আড়াইটায় সেসব ম্যাচ শুরু হবে। বাংলাদেশ কেবল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পুনেতে একটি ম্যাচ দিনে খেলবে। বাকি সব ম্যাচ দিবারাত্রির।