গত ০৩ আগষ্ট ২০১৭ তারিখের একটি অনলাইন পোর্টালে বরিশাল নগরীর ২৪ নং ওয়ার্ডের কাজী বাড়ী জামে মসজিদে বিগত ২০১৬ সালের ২৮ জুন তারিখে অনুষ্ঠিত ইফতার মাহফিলের ছবি দিয়ে ক্যাপশনে লিখেছে “বি.এন.পি.- জামাত আয়োজিত ইফতার মাহফিলে সাবেক জেলা প্রশাসক ড. গাজী মোঃ সাইফুজ্জামান”।
খবরটি আমাদের “কাজী বাড়ী জামে মসজিদ” পরিচালনা কমিটির দৃষ্টিগোচর হয়েছে। যা অসত্য, ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত। আমরা উক্ত খবরের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
কোন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানকে জড়িয়ে এমন মনগড়া অসত্য খবর প্রচারের আগে নিশ্চয়ই ভালোভাবে নির্ভরযোগ্য তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা উচিৎ ছিল। না জেনেশুনে এমন একটি অসত্য খবর প্রচার কতোটা যৌক্তিক?
কাজী বাড়ী জামে মসজিদ একটি স্বতন্ত্র ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। স্থানীয় ধর্মপ্রাণ মুসুল্লিদের সাহায্য-সহযোগীতায় ইহা পরিচালিত হয়। এর প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকে ২৪ নং ওয়ার্ড শ্রমিক লীগের সহ-সভাপতি মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। আর সভাপতি থেকে শুরু করে কেউই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কোন রাজনৈতিক দলের সাথে যুক্ত নন। তাঁরা স্বেচ্ছাশ্রমে মসজিদটি পরিচালনার দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
আমরা মূলত গত বছর এলাকার কতিপয় যুবকরা উদ্যোগ নিয়ে একটি মসজিদ নির্মাণ করি। ব্যপারটি বরিশাল-সমস্যা ও সম্ভাবনা ফেইসবুক গ্রুপে “সম্ভাবনা” হিসেবে পোষ্ট করি এবং উক্ত মসজিদের ইমাম সাহেব, মসজিদ কমিটির সেক্রেটারি ও কিছু মুসুল্লিসহ একটি প্রতিনিধিদল সাবেক জেলা প্রশাসক মহোদয়ের সাথে সাক্ষাত করে মসজিদটি পরিদর্শনের জন্য তাঁকে আমন্ত্রন জানাই। তিনি আমাদের এ ভালো কাজে খুশি হয়ে মসজিদটি পরিদর্শনে সম্মত হন।
যেহেতু সময়টা রমজান মাস ছিল, তাই আমরা সবাই মিলে ছোট-খাটো একটি ইফতার পার্টির আয়োজন করি।
মসজিদ কমিটির সর্বসম্মত সিদ্ধান্তক্রমে উক্ত অনুষ্ঠানে সাবেক জেলা প্রশাসক মহোদয়কে প্রধান অতিথি এবং স্থানীয় ২৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জনাব ফিরোজ আহাম্মেদকে জনপ্রতিনিধি বিবেচনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে আমন্ত্রন জানানো হয়।
এছাড়াও বি.পি.পি. গ্রুপের দু’জন এডমিন দীপু হাফিজুর রহমান ও ইব্রাহিম মাসুমকেও আমন্ত্রন জানানো হয়।
এটি নিতান্তই একটি ইফতার মাহফিল ছিল। আমন্ত্রিত অতিথিগণ আমাদের অনুরোধকে সম্মাণ জানিয়ে উক্ত অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন। তাদের নিকট থেকে আমরা কোন প্রকার সাহায্য-সহযোগীতাও গ্রহণ করিনি। কিন্তু কতিপয় স্বার্থান্বেষী মহল সম্মানীত অতিথিবৃন্দদেরকে হেয় করার উদ্দেশ্যে এমন একটি মহতি ইফতার পার্টিকে বি.এন.পি.- জামাতের ইফতার পার্টি হিসেবে অভিহিত করে গোটা মসজিদটাকেই প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করছেন। যা কিনা অত্যন্ত দুঃখজনক এবং ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত হানার সামিল। পেছনের ব্যানারটি লক্ষ্য করলেই বোঝা যাবে, এটি কি আসলে বি.এন.পি.- জামাতের কোন ইফতার পার্টি ছিল কিনা। এমন হলে একসময় দেশের মানুষ ভালো কাজের আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে।
উল্লেখ্য, সাবেক জেলা প্রশাসক মহোদয় শহীদ পরিবারের সন্তান। তাঁর বাবা ও তিন ভাইসহ পরিবারের চারজন মহান মুক্তিযুদ্ধে সম্মুখসমরে যুদ্ধ করেছেন। যার মধ্যে একভাই মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হয়েছেন। তিনি নিশ্চয়ই কোন জামাতপন্থিদের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে পারেন না।
উক্ত সংবাদ মাধ্যমকে অনুরোধ করবো, ভবিষ্যতে কোন সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্কতা ও দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিবেন।
আর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কাজী বাড়ী জামে মসজিদ এলাকায় এসে সরেজমিনে সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক উক্ত খবরের সত্যতা যাচাইপূর্বক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করছি এবং যেকোন খবর প্রচারের ক্ষেত্রে অবশ্যই জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য আহবান জানাচ্ছি।