পোল্ট্রি শিল্প নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে

লেখক:
প্রকাশ: ৭ years ago
চট্টগ্রাম

‘দেশের মানুষের প্রাণীজ আমিষের সিংহভাগ পোল্ট্রি শিল্প যোগান দিয়ে যাচ্ছে। তবুও নানা মুখী ষড়যন্ত্র ও বিভ্রান্তিকর তথ্য থেকে মুক্তি পাচ্ছে না এ শিল্প। ফলে পোল্ট্রি ফিডে নিন্মমান, দেশীয় মুরগী স্বাস্থ্যের জন্য ভাল, ডিম প্রতিদিন খাওয়া যাবে না, প্লাস্টিক ডিম দেশ ভরে গেছে, পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে মুরগি ও ডিম আমদানী হচ্ছে- এরকম বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। ফলে আক্রান্ত হচ্ছে দেশের বিকাশমান এ শিল্প।’ আজ কনজ্যুমার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রামের উদ্যোগে ক্যাব ‘সেফটি গভর্ননেন্স ইন পোল্ট্রি’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।

নগরীর ভেটেনারি অ্যান্ড অ্যানিম্যাল সাইন্স ইনিভাসিসিটর মেডিসিন ফেকাল্টির কনফারেন্স হলে ক্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. রিয়াজুল হক জসিম, ভেটেনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সাইন্স ইউনিভাসিটির ডিন অব ফেকাল্টিজের প্রফেসর এম এ হালিম, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোশেনের কাউন্সিলর আবিদা আজাদ, সরকারী হাস-মুরগী খামারের সহকারী পরিচালক ডা. অজিত কুমার সরকার, পাঁচলাইশ থানা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. সেতু ভুষন দাশ, ক্যাব মহানগরের সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, দৈনিক কালের কণ্ঠের ব্যুরো প্রধান মুস্তফা নঈম, দৈনিক সুপ্রভাত বাংলাদেশের প্রধান প্রতিবেদক ভুইয়া নজরুল প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, দেশীয় খামারীরা মুরগির বাচ্চা ও ফিডের অতিরিক্ত মূল্য, উৎপাদন খরচের তুলনায় বিক্রি মূল্য কম হওয়ায় অনেক খামারি দিনে দিনে খামার ছেড়ে দিয়ে অন্য ব্যবসায় মনোনিবেশ করছে। এ অবস্থায় দেশে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা, বিশেষ করে আমিষের অন্যতম যোগানদাতা পোল্ট্রি শিল্পকে ধ্বংসের হাত থেকে যেমন বাঁচাতে হবে তেমনি এ সেক্টরে বিরাজমান বিভ্রান্তি, অনিয়মও দূর করা জরুরি।