পেশা প্রতারণা, কামিয়েছেন কোটি টাকা

লেখক:
প্রকাশ: ৪ years ago

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থেকে বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে প্রতারণা করে কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে শীতল বিশ্বাস (৩৫) নামের একজনকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব।

সোমবার (৩০ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১০টায় র‍্যাব-১১ এর একটি দল অভিযান চালিয়ে রূপগঞ্জ থানার তারাব পৌরসভার দীঘিবরাব এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে।

আসামি শীতল রূপগঞ্জ থানার যাত্রামুড়া এলাকার বকুল বিশ্বাসের ছেলে।

এ সময় তার কাছ থেকে একটি ভুয়া ট্রেড লাইসেন্স, ব্র্যাক ব্যাংকের একটি চেকবই, একটি মানি রিসিপ্ট বই, দুটি আইডি কার্ড, এক বক্স ভিজিটিং কার্ড, একটি প্যাড বই, ব্যবসায়িক ও অফিশিয়াল ব্যাংক অ্যাকাউন্ট পরিবর্তনের আবেদনপত্র দুটি, তিনটি আন্তঃব্যাংক অনলাইন লেনদেনের প্রিন্ট কপি, প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ১৪টি সিল, একটি ল্যাপটপ ও একটি মোবাইল জব্দ করা হয়।

মঙ্গলবার (১ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টায় র‍্যাব-১১ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসীমউদ্দিন চৌধুরীর পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে তিনি জানান, গ্রেফতার আসামি প্রতারণার উদ্দেশ্যে সুপরিকল্পিতভাবে মার্কেটিং অফিসার সেজে বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেডিং করপোরেশন নামক প্রতিষ্ঠানে চাকরি নেন। চাকরির আড়ালে তিনি একই প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী মহিউদ্দিন চৌধুরীর সরল বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে অবৈধ উপায়ে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য ভুয়া ট্রেড লাইসেন্স তৈরি করে প্রতারণামূলকভাবে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেন। ওই কোম্পানির নামে নকল প্যাড বানিয়ে বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেডিং করপোরেশনের স্বত্বাধিকারী পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন কোম্পানির সঙ্গে আর্থিক লেনদেন পরিচালনা করেন।

প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী মহিউদ্দিন চৌধুরীর অজ্ঞাতসারে সুকৌশলে তার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের জন্য ব্যবহৃত ব্যাংক অ্যাকাউন্টের পরিবর্তে আসামি তার নিজস্ব নামের অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করার জন্য প্রয়োজনীয় নথিপত্র নকল করে আবেদন করেন এবং ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী মহিউদ্দিন চৌধুরীর প্রতিষ্ঠানের নামে লেনদেনের সব অর্থ প্রতারণামূলকভাবে আত্মসাৎ করেন। প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরে প্রদেয় টাকা ফেরত চাইলে আসামি শীতল ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী মহিউদ্দিন চৌধুরীকে ভয়ভীতি ও হুমকি দেন।

গ্রেফতার আসামি প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেন, দীর্ঘদিন ধরে তিনি বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে অভিনব কায়দায় প্রতারণা করে কোটি টাকার ওপরে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।

তার বিরুদ্ধে রূপগঞ্জ থানায় আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন বলে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসীমউদ্দিন।