শীত মানেই নানা স্বাদ ও রঙের সবজির সমাহার। এসময় নানারকম পুষ্টিকর সবজির ভিড়ে একটি পরিচিত সবজি হলো পেঁয়াজ কলি। গাঢ় সবুজ রঙের এই সবজি আমাদের জন্য বেশ উপকারী। পেঁয়াজ কলিতে বেদনা উপশমকারী উপাদান থাকায় এটি দ্রুত মাথা, মাংসপেশি এবং হাড়ের ব্যথা থেকে মুক্তি দেয়। অ্যান্টি-পাইরোটিক উপাদান থাকায় খাবারে পেঁয়াজ কলি ব্যবহার করলে জ্বর দ্রুত নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।
পেঁয়াজ কলিতে থাকা সালফার শরীরে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে, যা ডায়বেটিস রোগীর জন্য উপকারী। এতে প্রচুর পরিমাণে আঁশ থাকে যা হজমে সহায়তা করে। পেঁয়াজ কলিতে থাকা ক্যারোটিন দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়।
পেঁয়াজ কলিতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন এ। এটি খেলে সালাদের স্বাদ যেমন বাড়ে, তেমনি শরীরে পুষ্টির চাহিদাও মেটে। সর্দি-কাশি সারাতেও এর ভূমিকা রয়েছে। পেঁয়াজ কলিতে আরও আছে অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান যা পাকস্থলি, অন্ত্র এবং মূত্র প্রদাহ রোধে কাজ করে। ক্ষত থেকে রক্তপাত বন্ধ এবং সেই ক্ষতকে ইনফেকশনমুক্ত রাখার জন্য পেঁয়াজ কলি ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
যদি চান সারা বছর এই উপকারী সবজিটি সংরক্ষণ করতে তবে মেনে চলতে হবে কিছু টিপস। চলুন জেনে নেয়া যাক কিভাবে পেঁয়াজ কলি সংরক্ষণ করে সারা বছর খেতে পারবেন-
পেঁয়াজ কলি কেনার সময় টাটকা ও ভালো দেখে কিনে আনবেন। এরপর পেঁয়াজ কলি গুলো পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নেবেন।
পানি দিয়ে ধোঁয়ার পর পানি ঝরিয়ে তারপর ফ্যানের বাতাসে শুকিয়ে নেবেন। অথবা ভালোভাবে একটি তোয়ালে দিয়ে কলির পানি গুলো মুছে নেবেন। পানি থাকলে সংরক্ষণ করতে সমস্যা হয়। এবার কলিগুলোকে আপনার সুবিধামতো মাপে কেটে নিন।
কলিগুলো কাটা হয়ে গেলে একটি জিপ লক ব্যাগ বা এয়ারটাইট ফুড কন্টেইনারে নিয়ে নিন। তবে জিপ লক ব্যাগ না থাকলে সাধারন প্লাস্টিকের ব্যাগেও রাখতে পারেন। সেক্ষেত্রে অবশ্যই ব্যাগের মুখ ভালো করে সুতা দিয়ে আটকে দেবেন। এটি ডিপ ফ্রিজে রেখে অনায়াসে সংরক্ষণ করতে পারবেন।