পৃথিবীর বাইরে এলিয়েন বা ভিনগ্রহের প্রাণীদের সত্যিই কি উপস্থিতি আছে? এর সঠিক উত্তর পাওয়া যায়নি এখনও। এ নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে তর্ক-বিতর্ক চলছে।
এলিয়েন বা ভিনগ্রহের প্রাণী নিয়ে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিজ্ঞানীরা। আবারও এই নিয়ে চাঞ্চল্যকর একটি তথ্য প্রকাশ্যে এনেছে তারা। তারা জানিয়েছেন, কয়েক আলোকবর্ষ দূরে থাকা কোনো ছায়াপথ থেকে ক্রমাগত সংকেত আসছে পৃথিবীতে। মহাকাশ গবেষণার ব্যবহৃত শক্তিশালী টেলিস্কোপে ধরা পড়েছে সেই সংকেত।
বিজ্ঞানের ভাষায় এই সংকেতকে বলে ‘ফাস্ট রেডিও বার্স্টস’বা এফআরবি। কোথা থেকে আসছে এই সংকেত-এই নিয়ে প্রবল আগ্রহী বিজ্ঞানীরা। সেই ছায়াপথে কি পৃথিবীর মতোই গ্রহ রয়েছে। সেখানেও কি কোনো প্রাণীর অস্তিত্ব রয়েছে। তাহলে কি ভিনগ্রহীদের অস্তিত্ব রয়েছে-এই নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা।
২০১৭ সাল প্রথম এই ধরনের একাধিক সংকেত ধরা পড়েছিল টেলিস্কোপে। বছর দুয়েক আগে যেসব সিগন্যাল আসছিল তার মধ্যে ২টি সংকেত ক্রমাগত আসছে ২০১৭ সাল থেকে। প্রাথমিক গবেষণায় বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, এই সংকেত আসছে আমাদের ছায়াপথের পাশের কোনো ছায়া পথ থেকে। যদিও তার দূরত্ব কয়েক আলোকবর্ষ।
গত জানুয়ারিতে এ রকমই এক রহস্যময় রেডিও সিগন্যালের সন্ধান পান বিজ্ঞানীরা। কানাডার এক টেলিস্কোপে ধরা পড়ে সেই অদ্ভুত রেডিও সিগন্যাল। কোনো এক দূরের গ্যালাক্সি থেকে সেই সিগন্যাল এসেছে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। যদিও ওই রেডিও সিগন্যালের সঠিক উৎস ও ধরন সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত নন তারা।
১৩টি রেডিও বার্স্ট শোনা গিয়েছিল সেবার। একই উৎস থেকে একাধিক বার সেই সিগন্যাল আসছিল বলে জানা গিয়েছে। অন্তত ১৫০ কোটি আলোকবর্ষ দূর থেকে সেই শব্দ শোনা যায়।
‘এফআরবি’ হলো এক ক্ষুদ্র আকারের রেডিও সিগন্যালের ঝলক। এখনও পর্যন্ত গবেষকরা মোট ৬০টিরও বেশি এফআরবি চিহ্নিত করতে পেরেছেন। এর মধ্যে কয়েকটি রিপিট বা পুনরাবৃত্তি হয়েছে।
বিজ্ঞানীরা মনে করেন, প্রতিদিন আকাশে কয়েক হাজার এফআরবি ঝলক দেয়। এর কারণও ভিন্ন। হতে পারে, কোনো নিউরন স্টার খুব জোরে ঘুরছে। হতে পারে, দুটি নিউরন স্টার একসঙ্গে মিশে যাচ্ছে। আবার এলিয়েনদের উপস্থিতির কথাও একেবারে উড়িয়ে দেয়া যায় না।