পুড়ে অঙ্গার তাইফা, হাসপাতালে দগ্ধ বাবা

লেখক:
প্রকাশ: ৩ years ago

ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে লঞ্চে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহত হয়েছে তাইফা আফরিন (১০) নামের এক শিশু। এ দুর্ঘটনায় তাইফার বাবা গুরুতর দগ্ধ হয়ে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসাধীন।

নিহত তাইফা বরগুনার কেওড়াবুনিয়া ইউনিয়নের রোডপাড়া গ্রামের বশির উদ্দিনের মেয়ে।

স্বজনরা জানান, ক্যান্সারে ভুগছিলেন তাইফার নানা আলী শিকদার। তাকে ডাক্তার দেখাতে বাবার সঙ্গে ঢাকায় অবস্থান করছিলেন তার বাবা বশির উদ্দিন। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে (বৃহস্পতিবার) বিকেলে সদরঘাট থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে চড়েন। এরপর লঞ্চটি ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে আসলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

এ সময় তাইফার নানা জীবন বাঁচাতে নদীতে ঝাপ দেন। তাইফা ও তার বাবা ডেকে আটকে পড়েন। তাইফা অগ্নিদগ্ধ হয়ে লঞ্চেই মারা গেলেও দগ্ধ হন বশির উদ্দিন। তার নানা আলী শিকদার এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।

বরগুনা জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান বলেন, ‘লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে হতাহতদের অধিকাংশের বাড়ি বরগুনায়। খবরটি শোনার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। প্রাথমিকভাবে নিহত প্রত্যেক পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা ও আহতদের ১৫ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হবে।’

এর আগে বৃহস্পতিবার দিনগত রাত রাত ৩টার দিকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চের ইঞ্জিনে আগুন লাগে। মুহূর্তে আগুন পুরো লঞ্চে ছড়িয়ে পড়ে। এতে ৪০ জন নিহত ও আরও অন্তত কয়েক যাত্রী অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন। হতাহতদের কারো নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি।

খবর পেয়ে বরিশাল, পিরোজপুর, বরগুনা ও ঝালকাঠির কোস্টগার্ডসহ ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট উদ্ধারকাজ করছেন। দগ্ধদের মধ্যে ৭২জনকে বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিরা বরিশাল, ঝালকাঠিসহ আশপাশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। হতাহতদের কারো নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি।