বিকল্প ব্যবস্থা না করে ব্যাটারিচালিত রিকশা উচ্ছেদ বন্ধ এবং প্রয়োজনীয় নীতিমালা করে লাইসেন্স প্রদানের দাবিতে বরিশালে সড়ক অবরোধরত রিকশা মালিক শ্রমিকদের সাথে পুলিশের হাতাহাতি এবং সংঘর্ষ হয়েছে।
এই ঘটনায় আটক করা হয়েছে বাসদের বরিশাল জেলা সদস্য সচিব ও সিটি মেয়র প্রার্থী মনিষা চক্রবর্তীসহ ৬ আন্দোলনকারীকে।
বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় রিকশা শ্রমিক-মালিক সংগ্রাম কমিটির ব্যানারে খালি বাসন হাতে ভূখা মিছিল নিয়ে বিক্ষোভকারীরা নগর ভবনের সামনে গিয়ে সড়ক অবরোধ করে। অবরোধে নগর ভবনের সামনের গুরুত্বপূর্ন ৩টি সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়। পুলিশ বেশ কিছুক্ষন তাদের বুঝিয়ে শুনিয়ে অবরোধ তুলে দেয়।
পরে বিক্ষোভকারীরা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সামনে ফজলুল হক এভিনিউ সড়কঅ বরোধ করে। এতে আবারও যানজটের সৃষ্টি হলে পুলিশ তাদের অবরোধ তুলে নেয়ারঅনুরোধ করে। কিন্তু বিক্ষোভকারীরা পুলিশের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করে উল্টো তাদেরসাথে হাতাহাতি এবং ধাক্কা-ধাক্কিতে লিপ্ত হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, সকাল থেকেই নগরীর ব্যস্ততম সড়ক সদর রোডে ব্যাটারিচালিত রিকশা উচ্ছেদ বন্ধ এবং লাইসেন্স প্রদানের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করে অটোরিকশা শ্রমিকরা। এতে স্বাভাবিক যান চলাচল ব্যহত হয়।
ওই সময় কোতয়ালি পুলিশের পক্ষ থেকে রাস্তা না আটকিয়ে আন্দোলন করার অনুরোধ করা হয়। সেই অনুরোধে কিছুক্ষণের জন্য রাস্তা ছেড়ে দিলেও পরবর্তীতে ফের আটকে রাখে আন্দোলনকারীরা।
ওই সময় পুলিশ পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে রাখতে লাঠিচার্জ করলে একপর্যায়ে পাল্টা প্রতিরোধে অগ্রসর হয় আন্দোলনকারীরা। পরক্ষণে পুলিশ ও আন্দোলকারীদের শ্রমিকদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়।অন্তত ১০ আন্দোলনকারী আহত হয়েছে।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে জেলা বাসদের সদস্য সচিব ডা. মনিষা চক্রবর্তী, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের কেন্দ্রিয় নেতা প্রকৌশলী ইমরান হাবিব রুমন, নাসরিন আক্তার টুম্পা, মিঠুন চক্রবর্তী, নুরুল ইসলাম এবং জাকির হোসেনকে আটক করে কোতোয়ালী মডেল থানায় নিয়ে যায়।
বরিশাল কোতয়ালি মডেল থানার সহকারি কমিশনার (এসি) শাহানাজ পারভীন জানিয়েছেন- আহত পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করে শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। পাশাপাশি আহত শ্রমিকদেরও সেখানে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
পুলিশের ওপরে হামলার ঘটনায় ৬জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় প্রচলিত আইনে মামলা দায়ের সহ যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার ।