পুলিশের চাকরি নিতে জালিয়াতির অভিযোগ, গ্রেফতার ৮

:
: ৬ years ago

বগুড়ায় মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে মুক্তিযোদ্ধা সনদ জালিয়াতির মাধ্যমে পুলিশে নিয়োগ পাইয়ে দেয়ার চেষ্টার অভিযোগে জয়পুরহাট পুলিশ সুপার (এসপি) অফিসের স্টেনোগ্রাফারসহ ৮জনকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। গত তিনদিন ধরে অভিযান চালিয়ে বিভিন্নস্থান থেকে ৮জনকে আটকের পর শনিবার রাতে তাদের বিরুদ্ধে বগুড়া সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
তারা হচ্ছে- জয়পুরহাট পুলিশ সুপার অফিসের স্টেনোগ্রফার ও বগুড়ার সোনাতলা থানার হাসরাজ গ্রামের বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম, একই এলাকার ইউপি সদস্য আব্দুল মান্নান, জাকির হোসেন, মিল্লাত হোসেন, আইনুর ইসলাম, জুয়েল হাসান, আল-আমিন ও মনির হোসেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত ৬ মার্চ বগুড়া পুলিশ লাইন্স মাঠে কনস্টেবল নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়। শারীরিক ও লিখিত পরীক্ষা শেষে ১২ মার্চ লিখিত পরীক্ষায় উর্ত্তীণদের মৌখিক পরীক্ষা চলাকালে রাত সাড়ে ৮টায় গ্রেফতারকৃত আসামিদের মধ্যে মিল্লাত হোসেন, আইনুর ইসলাম, জুয়েল হাসান, আল-আমিন ও মনির হোসেন মৌখিক পরীক্ষার বোর্ডে মুক্তিযোদ্ধা কোটা সংক্রান্ত সনদপত্র দাখিল করে। সনদপত্র দেখে নিয়োগ বোর্ডের সদস্যদের সন্দেহ হলে তাদের মৌখিক পরীক্ষা পরে নেয়া হবে মর্মে জানানো হয়। এরপর গোপন অনুসন্ধান করে পুলিশ জানতে পারে তাদের দাখিল করা মুক্তিযোদ্ধা কোটা সংক্রান্ত সনদপত্র ভুয়া এবং জাল। এরপর ১৫ মার্চ থেকে গোয়েন্দা পুলিশের একাধিক টিম জড়িতদের গ্রেফতার করতে অভিযান শুরু করে।
প্রথমে গ্রেফতার করা হয় পুলিশে নিয়োগ নিতে আসা প্রার্থী মিল্লাত হোসেন, আইনুর ইসলাম, জুয়েল হাসান, আল-আমিন ও মনির হোসেনকে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে গোয়েন্দা পুলিশ জানতে পারে মুক্তিযোদ্ধা সনদ জাল করার মাধ্যমে পুলিশে নিয়োগ পাইয়ে দেয়া চক্রের মূল হোতা জয়পুরহাট পুলিশ সুপার অফিসের স্টেনোগ্রাফার রফিকুল ইসলাম।
তিনি ও তার ছোট ভাই ওয়াসিম রেজা ছাড়াও অপর আসামিরা ৫জন প্রার্থীদের প্রত্যেকের কাছ থেকে ১০ থেকে সাড়ে ১১ লাখ করে টাকা নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা সনদ জালিয়াতির মাধ্যমে ৫জনকে পুলিশে চাকুরি পাইয়ে দেয়ার আশ্বাস দেয়। পরে গোয়েন্দা পুলিশ স্টেনোগ্রাফার রফিকুলসহ আরো তিনজনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত ৮জনকে শনিবার রাতে বগুড়া সদর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। বগুড়া পুলিশ লাইন্সের রিজার্ভ অফিসার আবু তাহের বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বগুড়া জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক আসলাম আলী জানান, জালিয়াতি চক্রের ১২জনের নামে থানায় মামলা হয়েছে। এদের মধ্যে ৮জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পলাতক ৪জনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। মামলার প্রধান আসামি রফিকুল ইসলাম ইতিপূর্বে বগুড়া পুলিশ সুপারের অফিসে কর্মরত ছিল। বর্তমানে তিনি জয়পুরহাটে কর্মরত আছেন।