দেহরক্ষীর গুলিতে কান্দাহারের পুলিশপ্রধান জেনারেল আবদুল রাজিক নিহতের ঘটনায় প্রদেশটিতে শনিবারের জাতীয় নির্বাচনের ভোটগ্রহণ এক সপ্তাহ পেছানো হয়েছে।
আফগানিস্তানের ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইলেকশন কমিশনের মুখপাত্র হাফিজুল্লাহ হাশিমী বলেছেন, ‘জেনারেল রাজিকের মৃত্যুর কারণে প্রদেশের মানুষজন আসলে ভোটপ্রদানের জন্য নৈতিকভাবে প্রস্তুত নয়।’
তবে কান্দাহার ব্যতীত আফগানিস্তানের সব জায়গায় শনিবার জাতীয় নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে বলে জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো যৌথ বাহিনীর কমান্ডার জেনারেল স্কট মিলারের সঙ্গে প্রদেশটির গভর্নর ভবনে এক বৈঠক শেষে সবাই যখন বের হচ্ছিলেন, এমন সময় তাদের ওপর হামলা চালানো হয়। এতে স্থানীয় গোয়েন্দাপ্রধানও নিহত হন। কান্দাহারের গভর্নর ও তিন মার্কিন কর্মকর্তাসহ বেশ কয়েকজন এতে আহত হয়েছেন।
কট্টর তালেবানবিরোধী প্রভাবশালী পুলিশপ্রধান জেনারেল রাজিককে হত্যার ফলে সেখানকার মানুষজন নিরাপত্তাহীনতার কারণে ভোটকেন্দ্রে নাও যেতে পারেন বলে ধারণা করছেন দেশটির কর্মকর্তারা।
তালেবান রাজিককে হত্যার দায় স্বীকার করেছে। তালেবানের বিবৃতিতে বলা হয়, তাদের মূল টার্গেট ছিল জেনারেল স্কট মিলার। মিলার সেখান থেকে নিরাপদে সরে যেতে সক্ষম হন।
তালেবানরা বলেছে, ওই দেহরক্ষী তাদের সদস্য ছিল। জেনারেল রাজিকের আগে যিনি কান্দাহারের পুলিশপ্রধান ছিলেন তিনিও সাত বছর আগে তালেবানের হামলায় নিহত হন।
আসন্ন তৃতীয় জাতীয় নির্বাচনের ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়ে আসছে তালেবান। এবারের নির্বাচনী প্রচারণায় সন্ত্রাসী হামলায় এ পর্যন্ত দশজন প্রার্থী নিহত হয়েছেন।
শনিবারের জাতীয় নির্বাচনকে আগামী বছরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পরীক্ষা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসার কয়েকদিনের মাথায় আফগানিস্তানে নিয়োজিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান সামরিক কর্মকর্তাকে লক্ষ্য করে হামলা চালালো তালেবান।
২০১৪ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আনুষ্ঠানিকভাবে আফগান অভিযানের সমাপ্তি ঘোষণা করলেও আফগান বাহিনীকে প্রশিক্ষণ ও সহায়তা দিতে আট হাজার সেনাসদস্য ও কর্মকর্তা এখনো সেখানে রয়ে গেছে।
আফগানিস্তানে ন্যাটো নেতৃত্বাধীন বাহিনীর ১৬ হাজার সেনাসদস্যের মধ্যে আট হাজারই যুক্তরাষ্ট্রের।