পুলিশ সদস্যদের সার্বিক কল্যাণ সাধনের ক্ষেত্রে হৃদয় উজার করে যেমনি তাদের পাশে আছি, ঠিক তেমনি তাদের শৃংখলা রক্ষার্থে কঠোর থেকে কঠোরতম অবস্থানে রয়েছি। মাস্টার প্যারেড পরিদর্শনকালে পুলিশ কমিশনার মোঃ শাহাবুদ্দিন খান বিপিএম-বার পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশ্যে এ কথা বলেন ।
সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮ টায় পুলিশ লাইন্সে এই প্যারেড অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় পুলিশ কমিশনার আরও বলেন, মাস্টার প্যারেডের যে সকল কার্যক্রম রয়েছে তা সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খলভাবে পালন করতে হবে।
আমাদের শারীরিক কাঠামো ও সক্ষমতা যেনো ঠিক থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। শারীরিক ও মানসিক সক্ষমতা বাড়াতে ডিউটির পাশাপাশি আমাদেরকে নিয়মিতভাবে শরীর চর্চা করতে হবে।
এ বিষয়ে আইজিপি’র সুস্পষ্ট নির্দেশনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, পিআরবি অনুসারে আমাদেরকে প্রতি সপ্তাহে প্রতি ইউনিটে নিয়মিতভাবে মাস্টার প্যারেড আয়োজন করতে হবে।
একই সদস্য বার বার অংশগ্রহণ না করে, পর্যায়ক্রমে সকল সদস্যকে প্যারেডে অংশগ্রহণ করতে হবে। পুলিশ কমিশনার বলেন, পুলিশ সদস্যদের সার্বিক কল্যাণ সাধনের ক্ষেত্রে সামর্থ্য অনুযায়ী হৃদয় উজার করে আমরা সব সময় তোমাদের পাশে আছি।
তোমাদের বিভিন্ন সুবিধা ও অসুবিধাগুলো কল্যাণ সভায় তুলে ধরতে হবে। প্রয়োজন ও চাহিদা মাফিক এখানে ছুটির ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সুবিধা দেয়া হয়, যার পার্সেন্টেজ দেশের অন্যান্য ইউনিট এর চেয়ে অনেক বেশি । তোমাদের যেকোনো প্রয়োজন তোমরা সরাসরি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে উপস্থাপন করবে।
আমরা বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ যেভাবে সৌহার্দ্যপূর্ণ কর্মপরিবেশের মধ্য দিয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিচ্ছি তাতে করে সারাদেশে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ উদাহরণ সৃষ্টি করার মত একটি ব্যতিক্রমী ইউনিট এ পরিণত হয়েছে।
বিএমপি কমিশনার মোঃ শাহাবুদ্দিন খান দেশের সকল ক্রান্তিলগ্নে বাংলাদেশ পুলিশের ভূমিকা তুলে ধরে বলেন, ১৯৭১ জাতির পিতার ডাকে সাড়া দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে বাংলাদেশ পুলিশই প্রথম পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল।
করোনাকালে আমাদের ১০৭ জন পুলিশ সদস্য নিজেদের জীবন ত্যাগ করে শহীদ হয়েছেন , আক্রান্ত হয়েছেন আমাদের হাজার হাজার সদস্য। করোনা মহামারীতে প্রথম থেকে অক্লান্ত পরিশ্রমের পরেও আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে আমাদের দুর্বলতার চিত্র ছিল না।
করোনার পর্যাপ্ত সুরক্ষা সামগ্রী ছাড়া জনগনকে সচেতন করতে সম্মুখে থেকে কাজ করে গিয়েছে পুলিশ সদস্যরা। আমাদের রয়েছে উন্নত শৃঙ্খলা, আমরা দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য, দেশের উন্নয়নের জন্য যেকোনো ধরনের ত্যাগ স্বীকার করতে পারি। তাই এই বাহিনীর শৃংখলা রক্ষায় কঠোর থেকে কঠোরতম অবস্থানের বিষয়ে সকলের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি বলেন, যে সকল পুলিশ সদস্যের অপেশাদার ভূমিকার কারণে পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়, তাদের সংশোধন হয়ে শৃঙ্খলার পথে থেকে কাজ করতে হবে নতুবা তাদের চিহ্নিত করে আইন মোতাবেক শাস্তির আওতায় এনে তাদেরকে বাহিনী থেকে বাদ দিতে হবে।
এসময় তিনি সকলকে জনগণের পুলিশে রূপান্তরিত হয়ে ততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে অবদান রাখার আহবান জানান। মাস্টার প্যারেডে আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (হেডকোয়ার্টার্স) বিএমপি প্রলয় চিসিম, অতিঃ পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম এন্ড অপারেশন) বিএমপি, মোহাম্মদ এনামুল হক, উপ-পুলিশ কমিশনার (সাপ্লাই এ্যান্ড লজিস্টিকস্) মোঃ জুলফিকার আলী হায়দার, উপ-পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম , অপস্ এন্ড প্রসিকিউশন), মোঃ মোকতার হোসেন, পিপিএম, উপ-পুলিশ কমিশনার (সিএসবি) খাঁন মুহাম্মদ আবু নাসের সহ বিএমপি’র অন্যান্য শীর্ষ কর্মকর্তা