তথ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের প্রযোজনা এবং ইমপ্রেস টেলিফিল্মের তত্ত্বাবধায়নে সাইফুল ইসলাম মান্নু নির্মাণ করেছেন ‘পুত্র’। অটিস্টিক শিশুদের বেড়ে ওঠা, পরিবারের চ্যালেঞ্জ আর পারিপার্শ্বিক সামাজিক অবস্থায় একটি অটিস্টিক শিশু জীবন-যাপন কেমন হয়, শিশুটি কীভাবে বেড়ে ওঠে, সেসব দৃশ্যপট তুলে ধরা হয়েছে চলচ্চিত্রটিতে।
ছবিটিতে অটিস্টিক শিশুর চরিত্রে অভিনয় করেছেন লাজিম। আর জয়াকে দেখা যাবে তার স্কুল শিক্ষিকার চরিত্রে। সিনেমার গল্পে দেখা যাবে, ফারিহা ও ফেরদৌসের দুই সন্তান লাজিম ও তাহসিন। ছোট ছেলে স্বাভাবিকভাবে জন্ম নিলেও বড় ছেলে লাজিম অটিস্টিক বা স্পেশাল চাইল্ড হিসেবে বেড়ে উঠতে থাকে। আর সন্তানকে লালন-পালন করতে পদে পদে সংগ্রাম করতে হয়।
এতে আরও অভিনয় করেছেন চিত্রনায়ক ফেরদৌস, আজিজুল হাকিম, ডলি জহুর, শামস সুমনসহ আরও অনেকে। হারুন রশীদের কাহিনিতে চিত্রনাট্য ও সংলাপ করেছেন স্বয়ং নির্মাতাই।
চলচ্চিত্রটির ডিস্ট্রিবিউটিংয়ের দায়িত্ব পেয়েছে জাজ মাল্টিমিডিয়া। গেল সপ্তাহে এই তথ্য নিশ্চিত করেছিলো প্রতিষ্ঠানটি। ৫ জানুয়ারি প্রেক্ষাগৃহে ‘পুত্র’ চলচ্চিত্রটি মুক্তি পেতে যাচ্ছে জানিয়ে জাজের সিইও আলিমুল্লা খোকন বলেছিলেন, ‘জাজ মাল্টিমিডিয়া ‘পুত্র’ ছবিটির পরিবেশকের দায়িত্ব পেয়েছে। এই ছবিগুলোতো গ্রামের দিকে খুব একটা চলে না, তাই আমরা সিনেপ্লেক্সগুলোতেই বেশি মনযোগ দিচ্ছি।’
তবে তথ্য মন্ত্রণালয় শুধু সিনেপ্লেক্সেই নয়, ছবিটি মুক্তি দিতে চায় সারা দেশের সকল জেলার হলগুলোতে। আর সেটি নিশ্চিত করতে জাজকে আনুষ্ঠানকিভাবে চিঠিও দেয়া হয়েছে। তথ্য মন্ত্রণালয়ের চলচ্চিত্র ও প্রকিাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক স্বাক্ষরিত সেই চিঠিতে বলা হয়েছে, সারা দেশে জাজের মেশিন আছে এমন হলগুলোতে ছবিটি মুক্তি দিতে হবে। এই ছবি ব্যতীত জাজ তাদের মেশিনে অন্য কোনো ছবি চালাতে পারবে না। এ বিষয়টি সকল জেলার দায়িত্বে থাকা জেলা প্রশাসক ও জেলা অফিসারগণ মনিটরিং করবেন।
এই বিষয়ে জাজের সিইও আলিমুল্লাহ খোকন বলেন, ‘আমরা তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো একটা চিঠি পেয়েছি। চিঠিতে যে অনুরোধ করা হয়েছে সেরকম ব্যবস্থা নেয় হবে। তবে কয়টি হলে ছবিটি মুক্তি পাবে সেটি নিশ্চিত হতে আরও দুই একদিন সময় লাগবে। এই মুহূর্তে ‘গহীন বালুচর’ সিনেমার মুক্তির ব্যস্ততা যাচ্ছে।’