পুতিন নারী হলে ইউক্রেনে হামলা চালাতেন না: বরিস জনসন

লেখক:
প্রকাশ: ২ years ago

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যদি নারী হতেন তবে তিনি কখনওই ইউক্রেনে হামলা চালাতেন না। জনসন বলেন, পুতিন যদি নারী হতেন, অবশ্যই আমরা জানি যে, তিনি সেটা নন। তবে যদি হতেন তবে আমি মনে করি না তিনি ইউক্রেনে এমন উন্মাদের মতো হামলা চালাতেন।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জার্মান প্রচারমাধ্যম জেডডিএফকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি এসব কথা বলেন। বরিস জনসন বলেন, পুতিন নারী হলে তিনি এখন যে উপায়ে আক্রমণ ও সহিংসতা চালাচ্ছেন তা হয়তো করতেন না।

তিনি বলেন, ইউক্রেনে পুতিনের এই হামলা উন্মত্ত আচরণের যথার্থ উদাহরণ। তিনি বিশ্বজুড়ে নারীদের সর্বোত্তম শিক্ষা অর্জনের প্রতি জোর দিয়েছেন তিনি। বরিস জনসনের মতে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ক্ষমতায় আরও বেশি নারীকে প্রয়োজন।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, মানুষ এই যুদ্ধের সমাপ্তি চায়। কিন্তু শান্তি আলোচনার ক্ষেত্রে পুতিন তেমন একটা আগ্রহী নন।

এদিকে সুইডেন ও ফিনল্যান্ডকে ন্যাটো সামরিক জোটের সদস্য করায় আপত্তি প্রত্যাহার করেছে তুরস্ক। এতদিন নরডিক দেশ দুটিকে ন্যাটোভুক্ত করায় ভেটো দিচ্ছিল আঙ্কারা। তবে পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতে সেই অবস্থান পরিবর্তনে রাজি হয়েছে এরদোয়ান প্রশাসন।

ন্যাটোর নিয়ম অনুসারে, নতুন কোনো সদস্য নিতে হলে জোটের সব দেশেরই সম্মতি থাকতে হয়। ফলে সুইডেন ও ফিনল্যান্ড আনুষ্ঠানিকভাবে ন্যাটোয় যোগ দেওয়ার আবেদন জানালেও তুরস্কের আপত্তির কারণে তা আটকে গিয়েছিল।

ফিনল্যান্ড ও সুইডেন ন্যাটোয় যোগদানের তীব্র বিরোধী রাশিয়া। পশ্চিমারা এই সামরিক জোট সম্প্রসারণ করতে চাইছে, এমন দাবি তুলে ইউক্রেনে আক্রমণ শুরু করেছিল রাশিয়া। কিন্তু মস্কোর সেই অভিযান উল্টো ফল দিতে শুরু করেছে। এতদিন নিরপেক্ষ দেশ হিসেবে থাকলেও ইউক্রেনে রুশ অভিযান শুরুর পর ন্যাটোয় যোগ দিতে আগ্রহী হয়ে ওঠে সুইডেন-ফিনল্যান্ডের মতো প্রতিবেশীরা।

বিবিসির নিরাপত্তা বিষয়ক সংবাদদাতা ফ্রাঙ্ক গার্ডনার বলছেন, দুই গুরুত্বপূর্ণ দেশকে ন্যাটো জোটে নেওয়ার ক্ষেত্রে বড় একটি বাধা অপসারণ হলো। ফিনল্যান্ড ও সুইডেন আধুনিক, গণতান্ত্রিক ও সুপ্রশিক্ষিত সামরিক বাহিনীর অধিকারী হওয়ায় তা উত্তরাঞ্চলের হুমকি মোকাবিলায় ন্যাটোকে আরও শক্তিশালী করে তুলবে।