পিরোজপুরে মেম্বারের প্রেমের ফাঁদে কলেজছাত্রী দিশেহারা

লেখক:
প্রকাশ: ৬ years ago

পিরোজপুর সদর উপজেলার ৬ নং শারিকতলা-ডুমরিতলা ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নং ওয়ার্ডের মেম্বার মিজানুর রহমান মিজান মল্লিকের প্রেমে পড়ে এক কলেজছাত্রী দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।

প্রেমের ফাঁদে ফেলে ভুয়া বিয়ের মাধ্যমে ওই কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয়েছে। মেম্বারের প্রেমে প্রতারিত হয়ে শুক্রবার রাতে সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ওই ছাত্রী বাদী হয়ে পিরোজপুর থানায় ধর্ষণ মামলা করেন।

অভিযুক্ত মেম্বার মিজানুর রহমান মিজান মল্লিক (৩৮) সদর উপজেলার ৬ নং শারিকতলা-ডুমরিতলা ইউনিয়নের পশ্চিম ডুমরিতলা গ্রামের সাহেব আলী মল্লিকের ছেলে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজের ওই ছাত্রীর সঙ্গে শারিকতলা-ডুমরিতলা ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নং ওয়ার্ডের মেম্বার মিজানুর রহমান মল্লিকের মোবাইলে পরিচয় হয়।

দীর্ঘদিন মোবাইলে কথা বলার একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত ১ জানুয়ারি জরুরি কথা আছে বলে ওই ছাত্রীকে সদরে ডেকে আনে মেম্বার মিজানুর রহমান।

ওই সময় মিজানুর শহরের বলাকা ক্লাব সড়কের একটি বাসায় নিয়ে ওই ছাত্রীকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। প্রথমে কলেজছাত্রী বিয়েতে রাজি না হলেও পরে মিজানুরের চাপে রাজি হয়।

এরপর শারিকতলা এলাকার কাজি কালাম ও মিজানুরের বন্ধু সাইফের সাক্ষীতে তাদের বিয়ে হয়। পরে মিজানুর কলেজছাত্রীকে নিয়ে তাদের বাড়িতে যায় এবং কলেজছাত্রীর মায়ের কাছে তাদের বিয়ে হয়েছে বলে জানায়।

সেই সময় থেকে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে সংসার শুরু করে তারা। কয়েকদিন যেতে না যেতেই মিজানুরের বিভিন্ন আচরণে স্ত্রীর সন্দেহ হয়। পরে খোঁজ নিয়ে স্ত্রী জানতে পারেন মিজানুর আগে থেকেই বিবাহিত। তার কাছে আগের বিয়ের কথা গোপন রেখে নতুন করে বিয়ে করেছে মিজানুর।

এ নিয়ে কলেজছাত্রীর সঙ্গে মিজানুরের ঝামেলা তৈরি হয়। কয়েকদিন পর কলেজছাত্রীকে বিয়ের কথা অস্বীকার করে মিজানুর। এরপর কলেজছাত্রী খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, মিজানুর তাকে বিয়ে করার নামে মিথ্যা নাটক করেছে এবং ভুয়া বিয়ের মাধ্যমে দীর্ঘদিন স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে সংসার করেছে।

এমন প্রতারণার ঘটনা জানতে পেরে দিশেহারা হয়ে পড়েন ওই কলেজছাত্রী। উপায় না পেয়ে শুক্রবার পিরোজপুর সদর থানায় মিজানুর রহমানকে আসামি করে ধর্ষণ মামলা করেন কলেজছাত্রী।

এ বিষয়ে পিরোজপুর সদর থানা পুলিশের ওসি এসএম জিয়াউল হক জানান, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। কলেজছাত্রীকে ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়েছে। একইসঙ্গে অভিযুক্ত ইউপি মেম্বার মিজানুর রহমানকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।