এ ঘটনায় ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে পিরোজপুর সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেছেন। মামলায় স্বামী ও তার বন্ধু এবং সহযোগীদের আসামি করা হয়েছে।
নির্যাতিত ওই গৃহবধূ জানান, ঢাকায় বসবাসকালে প্রায় দুই বছর আগে এক সন্তানসহ তাকে বিয়ে করেন পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার অজয়। অজয় হিন্দু হলেও বিয়ের সময় মুসলমান বলে পরিচয় দেন। বিয়ের তিন মাস পর ওই গৃহবধূকে ফেলে নাজিরপুরে চলে যান অজয়।
সম্প্রতি অজয়ের বন্ধু লিটন ফোনে গৃহবধূকে জানান, তার স্বামী অন্যত্র বিয়ে করছেন। পাশাপাশি অজয়কে এ থেকে ফিরিয়ে আনার আশ্বাস দিয়ে বন্ধুর বউকে ঢাকা থেকে পিরোজপুরে নিয়ে যান লিটন।
মঙ্গলবার ভোরে বাসযোগে আড়াই বছর বয়সী কন্যা সন্তানকে নিয়ে পিরোজপুরে যান গৃহবধূ। এরপর লিটনের সঙ্গে তাদের বাসায় যান। মঙ্গলবার রাতে অজয়ের সঙ্গে দেখা করার কথা বলে একটি নির্জন বাসায় গৃহবধূকে নিয়ে যান লিটন।
এরপর রাতভর গৃহবধূকে সেখানে ধর্ষণ করা হয়। পরের দিন সকালে স্থানীয়দের সহায়তায় পিরোজপুর সদর থানায় পৌঁছে লিটন ও স্বামী এবং সহযোগীদের আসামি করে মামলা করেন গৃহবধূ।
সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম জিয়াউল হক জানান, পিরোজপুর সদর হাসপাতালে মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।