পিরোজপুরের নাজিরপুরে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রী (১৪) তার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সহায়তায় নিজের বাল্যবিয়ে বন্ধ করেছে। সোমবার (১৫ আগস্ট) উপজেলার সদর ইউনিয়নের চিথলিয়া গ্রামের এক যুবকের সঙ্গে ওই স্কুলছাত্রীর বিয়ের দিন ধার্য ছিল।
ওই ছাত্রী উপজেলার সদর ইউনিয়নের পাতিলাখালী গ্রামের এক দিনমজুরের মেয়ে এবং নাজিরপুর বালিকা বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী। ওই স্কুলছাত্রী জানায়, সে পড়াশোনা করে স্বাবলম্বী হতে চায়। কিন্তু পরিবার তার আগেই তাকে বিয়ে দিতে চায়। তাই সে বাল্য বিয়ে থেকে রক্ষা পেতে প্রধান শিক্ষকের কাছে বিষয়টি জানায়।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রশান্ত কুমার হালদার বলেন, গত রোববার (১৪ আগস্ট) সকালে ওই স্কুলছাত্রী তার বিয়ে ঠেকাতে আমার কাছে এসে কেঁদে ফেলে। আমি বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) জানাই।
নাজিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ আব্দুল্লাহ আল সাদীদ বলেন, ওই স্কুলছাত্রীর বিয়ের তারিখ ছিল সোমবার।বাল্যবিয়ের বিষয়টি তার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের মাধ্যমে জানতে পেরে রোববার রাতে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আল মামুনের মাধ্যমে ছাত্রীর বাবাকে ডেকে পাঠাই।
পরে তিনি তার মেয়েকে ১৮ বছরের আগে বিয়ে দেবেন না বলে মুচলেকা দেন। তারপরও তিনি যাতে গোপনে মেয়েকে বিয়ে না দেন সেজন্য লোক দিয়ে পাহারা দেওয়া হয়েছিল।
নাজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির বলেন, খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। স্কুলছাত্রীর বাবাকে থানায় ঢেকে মেয়েকে ১৮ বছরের আগে বিয়ে দিতে নিষেধ করা হয়েছে।