পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলায় নিখোঁজের ৫ দিন পর হা-পা বিচ্ছিন্ন অবস্থায় এক শিশু শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় মামলা হয়েছে। নিহত লাবনী আক্তারের (৫) মা সোনিয়া বেগম বাদী হয়ে শনিবার ইন্দুরকানী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে।
পুলিশ এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একই এলাকার ১২ বছরের এক কিশোরকে পুলিশি হেফাজতে নিয়েছে বলে জানান পিরোজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোল্লা আজাদ হোসেন।
ইন্দুরকানী থানার ওসি মো. হুমায়ূন কবির জানান, লাশ উদ্ধারের ঘটনায় ভিকটিমের মা সোনিয়া বেগম অজ্ঞতদের নামে একটি অভিযোগ দেয়। তার অভিযোগে আমরা একটি হত্যা মামলা রজু করি।
আমরা এ ঘটনার রহস্য উদঘটনে চেষ্টা করছি। পুলিশের একটি টিম এ বিষয়ে ২৪ ঘণ্টা কাজ করছে। প্রকৃত আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
পিরোজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোল্লা আজাদ হোসেন জানান, পুলিশ ঘটনাটি দেখছে। আজ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ সুপার। এ বিষয়ে তথ্য পাওয়ার জন্য এক কিশোরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ৩১ অক্টোবর কালাইয়া গ্রামের শহিদুল ইসলাম মৃধার নাতনী লাবনী আক্তার খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। ঘটনার ৫ দিন পর শুক্রবার সকালে কালাইয়া গ্রামের নুরুল ইসলামের সুপরি বাগান থেকে শিশুটির হাতের কব্জি ও পায়ের গোড়ালী বিচ্ছিন্ন লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।