মঠবাড়িয় প্রতিনিধি :: পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় ১৯ বছর বয়সী এক গৃহকর্মীকে পালাক্রমে গণধর্ষণ ঘটনায় জড়িত প্রধান আসামী সুমন খান(২২)কে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। আজ বৃহস্পতিবার মঠবাড়িয়া থানা পুলিশ মোবাইল প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে আসামীর অবস্থান নিশ্চিত হন।
পরে মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মো. আব্দুল হক এর নেতৃত্বে পুলিশ বরিশাল মহানগরীর কাউনিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত সুমনকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত সুমন খান উপজেলার দাউদখালী গ্রামের আফজাল খানের ছেলে।
এ সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ঘটনায় জড়িত দাউদখালী গ্রামের ছালাম হাওলাদারের ছেলে ইমরান হাওলাদার (২০) ও জিয়াম হাওলাদারের ছেলে রাজু হাওলাদার (২৫) বর্তমানে পলাতক রয়েছে।
এ ঘটনায় নির্যাতিত গৃহকর্মী বাদি হয়ে ঘটনার পরদিন ১৫ সেপ্টেম্বর রাতে নামীয় ৩জন ও অজ্ঞাত আরও দুই জনকে আসামী করে মঠবাড়িয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করলে অভিযুক্ত তিন আসামী এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়।
মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ আব্দুল্লাহ গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, গৃহকর্মীকে গণধর্ষণের অভিযোগে দায়েরকৃত মামলা অপর দুই আসামী পলাতক। তাদের গ্রেফতারে র পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। প্রধান আসামী সুমনকে আগামীকাল শুক্রবার আদালতে সোপর্দ করা হবে।
প্রসঙ্গত: উপজেলার দাউদখালী গ্রামের ওই গৃগকর্মী পাশ্ববর্তী দেবত্র গ্রামের গৃহস্থ আজাদুর রহমান এর বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ করে আসছিলেন। অভিযুক্ত আসামীরা প্রায়ই আসা যাওয়ার পথে ঘাটে ওই যুবতীকে উত্ত্যক্ত করে নানা কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। গত ১৪ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে দেবত্র গ্রামের গৃহকর্তার বাড়িতে কাজ করতে পথে সংঘবদ্ধ আসামীরা মেয়েটির পথ রোধ করে মুখ কাপড় চেপে স্থানীয় ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের ছাদের উপরে নিয়ে রাতভর পালাক্রমে ধর্ষণ করে। রাত দেড়টার দিকে মাছ শিকারে যাওয়া আব্দুর রহমান নামে এ ব্যক্তি ক্লিনিকের ছাদে কান্না কাটির শব্দ শুনতে পেয়ে এগিয়ে যান। এরপর ক্লিনিকের ছাদে তিনি টর্চলাইট মারতেই আসামীরা অসুস্থ মেয়েটিকে ফেলে রেখে দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে মাছ শিকারী আব্দুর রহমান ক্লিনিকের ছাদ থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করে বাড়িতে পৌঁছে দেন।