পিরোজপুর জেলার ইন্দুরকানী উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোসা. সেলিনা বেগমের (৩৮) দুই পা পিটিয়ে ভেঙ্গে দিয়েছে প্রতিপক্ষরা। জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে শুক্রবার উপজেলার চরণী পত্তাশী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
গুরুতর আহত অবস্থায় সেলিনা বেগমকে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি উপজেলার চরনী পত্তাশী গ্রামের মো. জাহিদ হোসেন হাওলাদারের স্ত্রী।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সেলিনা বেগম জানান, উপজেলার চরনী পত্তাশী এলাকায় স্বামীর নামে একটি জমি নিয়ে স্থানীয় রশিদ হাওলাদারের ছেলে আলমগীর হাওলাদার ও আলাউদ্দিন হাওলাদারের সঙ্গে বিরোধ চলে আসছিল সেলিনা বেগমের। শুক্রবার সকালে তিনি তার স্বামীকে নিয়ে সেই জমিতে ধানের বীজ রোপন করে বাড়ি ফেরার পথে স্থানীয় রশিদ হাওলাদার, আলাউদ্দিন হাওলাদার, আলমগীর হাওলাদার, বাদশা মৃধা, বশির মৃধা, শহিদুল হাওলাদার, নাইম হাওলাদার ও গফ্ফার হাওলাদারসহ কয়েকজন পথ আগলে তাদের ওপরে হামলা চালায়।
এক পর্যায়ে তার স্বামী জাহিদ হোসেন হাওলাদারকে কয়েকজন মিলে ধরাধরি করে অন্যদিকে নিয়ে যায়। তবে হামলাকারীরা তাকে ধরে নিয়ে একটি বাড়িতে আটকে রাখে। পরে লোহার রডে পাটের বস্তা পেঁচিয়ে পিটিয়ে তার দুই পা ভেঙ্গে ফেলে এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে পিটিয়ে জখম করে।
সেলিনা বেগম আরও জানান, হামলাকারীরা তাকে আহত করার পর তার কাছে থাকা দুটি মোবাইল ফোন, কানের স্বর্ণের দুল ও স্বর্ণের গলার চেইন ছিনিয়ে নেয়। এ সময় তার সঙ্গে থাকা একটি ব্যাগ থেকে প্রায় চার হাজার টাকা লুটে নেয়। পরে তার স্বামী বিষয়টি পুলিশকে জানালে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে।
পিরোজপুর জেলা হাসপাতালের আরএমও ডা. নণী গোপাল রায় জানান, সেলিনা বেগমের দুই পা আঘাতের কারণে ভেঙ্গে গেছে। এ ছাড়া তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের আঘাত আছে।
এ ব্যাপারে ইন্দুরকানী থানার ভারপ্রপা্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: হাবিবুর রহমান জানান, বিষয়টি জানার পরে থানার পুলিশ তাকে গিয়ে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে। জমি সংক্রান্ত বিরোধের কারণে এ ঘটনা ঘটেছে। তবে এ বিষয়ে থানায় এখানো কেউ কোনো অভিযোগ করেনি।