পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার ৩৩ নং মধ্য কলারদোয়ানিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র মোঃ আল মামুন (৯) নামের এক ছাত্রকে ঐ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মোঃ সাইফুল ইসলাম এর কলমের আঘাতে বাম চোখের জ্যোতি নষ্ট হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, গত ৭জুলাই সকাল ১১ টায় এ ঘটনা ঘটে। আল-মামুনের বাবা জানান, আল-মামুন হাতের লেখার খাতা না দিলে তাকে টেবিলের কাছে ডেকে নিয়ে চর থাপ্পর মারার একপর্যায়ে বাম চোখে কলম দিয়ে খোঁচা মারে। সাথে সাথে ছাত্র আল-মামুন অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাকে ঐ শিক্ষকের সহযোগীতায় বাড়িতে পৌছে দেওয়া হয়। কিন্তু রাতে ছাত্রের বাম চোখ ফুলে ওঠে এবং সারা রাত যন্ত্রনায় চিৎকার করতে থাকে। পরের দিন নেছারাবাদ চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার মোঃ রেজাউল হকের কাছে আল-মামুনকে নিয়ে যাই এবং চিকিৎসা করাই তার পরেও বাম চোখে মোটেও দেখতে পায় না বলে জানায়।
প্রাথমিক গণশিক্ষা মন্ত্রনালয়ের অধিনে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ আছে যে, শিক্ষক দ্বারা কোন ছাত্র-ছাত্রীকে মারধর করা থাক দূরের কথা তাকে মানসিক ভাবেও আঘাত করা যাবে না। কিন্তু ঐ শিক্ষক (সাইফুল ইসলাম খোকন) কর্তৃক দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রের উপর অমানবিক নির্যাতনের প্রতিবাদে এলাকায় ঝড় উঠেছে। অসহায় আল-মামুনের মা মাকছুদা বেগম ছেলের চোখ নষ্ট হওয়ার বিচারের জন্য বাদী হয়ে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে গত ১৫ জুলাই মামলা দয়ের করলে বিজ্ঞ আদালত ছাত্রের ১৬৪ ধারা জবানবন্ধি মোতাবেক নাজিরপুর থানা বরাবর প্রাথমিক পর্যায় এফ আই আর আদেশ দেন।
এ ব্যাপারে ঐ শিক্ষক সাইফুল ইসলাম খোকন এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তাকে ফোনে পাওয়াযায়নি। বিষয়টি নাজিরপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আতিকুর রহমান জুয়েল এর সাথে মুঠো ফোনে কথা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি আপনাদের মাধ্যমেই জানলাম। ছাত্রের কোন অভিভাবক অদ্যাবধি আমাকে জানায়নি। আর আমার কাছে আসেওনি। আপনার মাধ্যমে যেহেতু শুনলাম কোর্টে মামলা হয়েছে এখানে আমার কিছু বলার নেই। যদি কোন হুকুম বা আদেশ ঐ শিক্ষকের বিরুদ্ধে আসে তখন আমি আমার দায়িত্ব যথাযথ ভাবে পালন করব।