পিরোজপুরের চাঁদকাঠী-কলাখালী খেয়াঘাট দখলে নিয়েছে জেলা প্রশাসন

:
: ৫ years ago

পিরোজপুর সদর ও স্বরূপকাঠী উপজেলার কলাখালী ও গুয়ারেখা ইউনিয়ন পরিষদকে ম্যানেজ করে নীরব চাঁদাবাজির সংবাদ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারের পর চাঁদকাঠী-কলাখালী খেয়াঘাট দখলে নিয়েছে পিরোজপুর জেলা প্রশাসন। ফলে পিরোজপুরের কলাখালী ইউনিয়নের কলাখালী ও স্বরূপকাঠীর গুয়ারেখা ইউনিয়নের চাঁদকাঠীর এ খেয়াঘাটকে কেন্দ্র করেই প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব আদায়ের সম্ভাবনা তৈরী হয়েছে।

এর আগে দুই ইউনিয়ন পরিষদকে বছরে মোট ১ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা অনুদান ও স্থানীয় জিন্নাতআলী মেমোরিয়াল বিদ্যালয় ও কলেজকে বছরে ৩ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা চাঁদা দিয়ে দৈনিক প্রায় ৮ হাজার টাকা আয়ের এ ঘাটটি সামান্য মূল্যেই দখল করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে খেয়াঘাট পরিচালনা করে আসছিলো সাবেক খেয়া মালিক বাদশা। স্থানীয়রা জানায়, জেলা সদরের সাথে সহজে ও অল্প সময়ে যোগাযোগের পথ হওয়ায় স্ট্যান্ডের প্রায় ১৫০টি ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সা, ১০টি ম্যাক্সি ও প্রায় ২০০ মোটরসাইলের যাত্রীরা এই ঘাটের মাধ্যমে জেলা সদরে যাতায়াত করেন। তবে ঘাটটিতে মাত্র একটি খেয়া চলাচল করায় ও নদীর কলাখালী পাড়ে কোন যাত্রী ছাউনি ও দোকানপাট না থাকায় রোদ বৃষ্টিতে যাত্রী ভোগান্তি চরমে উঠেছে। খেয়ার জন্য অপেক্ষায় থাকতে গিয়ে প্রতিদিন দুর্ভোগ পোহাচ্ছে স্বরূপকাঠীর প্রায় ২০০০ যাত্রী।

কলাখালী ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সুনীল চন্দ্র পাইক জানান, ডিসি স্যারের নির্দেশে এখারে খাস আদায় করছি। সকাল ৯ টাকা থেকে ৪ টা পর্যন্ত আমি এবং বাকি সময় বাদশা খাসের টাকা আদায় করছে। ট্রলার ও শ্রমিক খরচ বাবদ দৈনিক ২৫০০ টাকা দেয়া হয় বলেও জানান তিনি।

পিরোজপুর জেলা প্রশাসক আবু আলী মোঃ সাজ্জাদ হোসেন জানান, চাঁদকাঠী-কলাখালী খেয়াঘাটটি জেলা প্রশাসনের দখলে নিয়ে খাস আদায় করা হচ্ছে।