পিতৃত্বকালীন ছুটি নিয়ে এখন প্রায়ই আলোচনা হয়। মায়েদের সঙ্গে এখন অনেক বাবাও সন্তান জন্মের পর তাদের দেখভালের জন্য ছুটি নেন। ঠিক এমনই আরেক উদাহরণ দিলেন টুইটারের প্রধান নির্বাহী (সিইও) পরাগ আগারওয়াল।
দ্বিতীয় সন্তান শিগগিরই আসছে পরাগের। তাকে স্বাগত জানাতে তথা খেয়াল রাখতেই কয়েক সপ্তাহের ছুটি নিয়েছেন তিনি। পিতৃত্বকালীন ছুটি বিষয়ে শীর্ষ কর্মকর্তাদের মধ্যে প্রথা ভাঙায় অনেকেই তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ।
ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে জানা গেছে, টুইটার কর্মীরা তার এই সুসংবাদকে স্বাগত জানিয়েছেন। ‘টুইটার পেরেন্টস’-এর পক্ষ থেকে এক টুইটে বলা হয়েছে, ‘যে প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা উদাহরণ তৈরি করে নেতৃত্ব দেন এবং পিতৃত্বকালীন ছুটি নেন, সেখানে কাজ করার বিষয়টি সত্যিই চমৎকার!’
টুইটারের এক সদস্য নেদ সেগাল বলেন, ‘এমন এক উদাহরণ প্রতিস্থাপনের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। টুইটারের ৭ হাজার ৫০০ কর্মচারী আপনার সঙ্গে আছে।’ আরেক সদস্য শিল্পা কানান লিখেছেন, ‘আমি এমন একটি সংস্থায় কাজ করে যথেষ্ট গর্বিত বোধ করছি, যেখানে সিইও পরিবারের জন্য এ সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। বাবা এবং মা উভয়ের জন্যই এ ভাবনাকে সাধারণ করে দেওয়া হোক!’
টুইটারের মুখপাত্র লরা ইয়াগারম্যান এক বিবৃতিতে জানান, পিতৃত্বকালীন ছুটিতে থাকার সময় টুইটারের নির্বাহী কর্মকর্তাদের সঙ্গে যুক্ত থাকবেন পরাগ। ‘যার যেভাবে ছুটি নিলে ভালো হয়, টুইটারে আমরা কর্মীদের সেভাবেই পিতৃত্বকালীন ছুটি নেওয়ার জন্য উৎসাহিত এবং পূর্ণ সমর্থন করি।’
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সরকারের নিয়মানুযায়ী, পিতৃত্বকালীন ছুটির জন্য কোনো সময়সীমা বেঁধে দেওয়া নেই। তবে বাইডেন প্রশাসন ‘বিল্ড ব্যাক বেটার প্ল্যান’-এর খসড়ায় ১২ সপ্তাহের পিতৃত্বকালীন ছুটির ব্যবস্থা রাখা হয়। পরে অবশ্য সেটি চার সপ্তাহ করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি-বেসরকারি কর্মীদের মাত্র ২৩ শতাংশ এ ছুটি পান।
মাত্র তিন মাস আগে গত নভেম্বরে মাইক্রোব্লগিং সাইটটির শীর্ষপদে বসেন পরাগ। জ্যাক ডরসি টুইটারের সিইও পদ থেকে সরে দাঁড়ালে তার স্থলাভিষিক্ত হন ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই প্রকৌশলী।
২০১১ সালের অক্টোবরে পরাগ আগারওয়াল টুইটারে যোগদান করেন। শুরুতে একজন ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে বিজ্ঞাপনের প্রোডাকশন বিভাগে কাজ করতেন পরাগ। পরবর্তীকালে ২০১৭ সালে পদোন্নতি পেয়ে তিনি প্রতিষ্ঠানটির টেকনোলজি বিভাগের প্রধান হন।
টেকনোলজি বিভাগের প্রধান হিসেবে টুইটারে পরাগ বেশকিছু সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। বিশেষত পাসওয়ার্ড সিকিউরিটি সিস্টেম এবং টুইটারের বিকেন্দ্রীকরণে পরাগের সাফল্য প্রতিষ্ঠানটির প্রধানদের দৃষ্টি কাড়ে। পরবর্তীকালে পরাগ চতুর্থ ব্যক্তি হিসেবে টুইটারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্ব নেন।