পাহাড়ধসে মায়ের মৃত্যু, অলৌকিকভাবে বাঁচল কোলে থাকা যমজ শিশু

:
: ২ years ago

চট্টগ্রামে শুক্রবার মধ্যরাতে পাহাড়ধসে মা শাহীনুর বেগম নিহত হন। তার কোলেই ছিলো দুই যমজ শিশু তাসকিয়া ইসলাম তানহা ও তাকিয়া ইয়াসমিন তিন্নি। পাহাড়ধসে মায়ের মৃত্যু হলেও, অনেকটা অলৌকিকভাবে বেঁচে গেছে এই দুই শিশু।

শুকবার দিবাগত রাত ১টার দিকে চট্টগ্রাম নগরের আকবরশাহ থানার ১ নম্বর ঝিল বরিশাল ঘোনায় পাহাড়ধসের এই ঘটনায় শাহীনুর ও তার বোন মাইনুর বেগমের মৃত্যু হয়। পাহাড়ধসের সময় যমজ শিশুরা মা শাহীনুরের কোলে থাকলেও অলৌকিকভাবে প্রাণে বেঁচে গেছে তারা। তারা স্বাভাবিক রয়েছে। আরেক খালার বাসায় এখন খেলাধুলা করছে অবুঝ এই দুই শিশু।

একই ঘটনায় আহত হয়ে শাহীনুর-মাইনুরের বাবা-মা ফজলুল হক ও রানু বেগম চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এর আগে পাহাড়ধসের পর স্থানীয়রা আহত অবস্থায় শাহীনুর, মাইনুর, ফজলুল হক এবং রানুকে চমেক হাসপাতালে নিয়ে আসেন। পরে চিকিৎসক দুই বোনকে মৃত ঘোষণা করেন।

শাহীনুরের স্বামী রিকশাচালক জয়নাল আবেদীন বলেন, সামান্য বৃষ্টি হলেই আমরা পাহাড়ের নিচের ওই ঘর ছেড়ে আমার স্ত্রীর বোন নার্গিস বেগমের বাসায় চলে যাই। শুক্রবার বৃষ্টি হওয়ার পর আমি আর আমার ছেলে নার্গিসের বাসায় চলে আসলেও আমার স্ত্রী, তার বোন, বাবা-মা আসবে বলেও রাতে আর আসেনি।

তাদের নার্গিসের বাসায় আসার জন্য আমি জোরাজুরিও করেছিলাম। রাতে পাহাড়ধসের খবর শুনে ছুটে গিয়ে সবাইকে হাসপাতালে নিয়ে যাই। স্ত্রী ও তার বোন মারা যায়। শ্বশুর ও শাশুড়ি আহত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ছেলেটি আমার সঙ্গে ছিল বলে বেঁচে গেছে। আমার যমজ দুটি শিশু মায়ের কোলে থাকলেও আল্লাহ তাদের অলৈাকিকভাবে বাঁচিয়ে দিয়েছেন।

পাহাড়ধসের পর উদ্ধার হওয়া যমজ শিশু দুটি এখন রয়েছেন খালা নার্গিসের বাসায়। সেখানে নার্গিসের মেয়ে ইয়াসমিন আকতার শিশুদের দেখাশোনা করছেন।