দীর্ঘ প্রতিক্ষার পরে একনেকে পাশ হলো বরিশালের পুর্বাঞ্চল বাসীর স্বপ্নের ‘গোমা সেতু’ । ৫৮ কোটি ২৯ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই সেতুটি হবে অত্যাধুনিক ডিজাইনে। খুব শিঘ্রই অন্যান্য প্রক্রিয়া সম্পন্ন শেষে কাজ শুরু হবে।
গোম সেতু পাশ হওয়ার খবরে পুর্বাঞ্চলের মানুষ উচ্ছাসে ফেটে পড়ে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেজবুক, টুইটার সহ নানান ভাবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহ সংস্লিষ্ট সকলকে অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা জানানো হয়। বিশেষ করে বাকেরগঞ্জ উপজেলায় মিষ্টি বিতরণ সহ নানান ভাবে উল্লাস করা হয়।
খোজ নিয়ে জানা গেছে, এই সেতু বাস্তবায়নে দীর্ঘ তিন বৎসর ছয় মাস নিরলস চেষ্টার পর অবশেষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ একনেকের সভায় বাকেরগঞ্জবাসীর প্রানের দাবী গোমা সেতু ৫৮ কোটি ২৯ লক্ষ টাকা পাশ হয় ।২০১৪ সালের মে মাসে বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেননের চাহিদাপত্র(ডিও লেটার)দিয়ে শুরু হয় কার্যক্রম । এরপর থেকে প্রক্রিয়া সম্পন্নে নিরলসভাবে কাজ করেছেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অতিরিক্ত সচিব ও বাকেরগঞ্জর চরামদ্দির কৃতি সন্তান আলাউদ্দিন ফকির। তাছাড়া দাড়িয়ালের আরেক কৃতি সন্তান ও জাতীয় সমাজ তান্ত্রীক দল জাসদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মোহসীন ছিলেন মুখ্য ভুমিকায়।
বাকেরগঞ্জের মানুষ এখন বাস্তবায়নের জন্য সরকারের দিকে মুখিয়ে আছে।
পাশ হ্ওয়ার পরে এক প্রতিক্রিয়ায় জাতীয় সমাজ তান্ত্রীক দল জাসদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মোহসীন বলেন, গোমা সেতুর দাবী আদায়ে ছায়ার মত ছিলেন সরকারের অতিরিক্ত সচিব আমাদের সবার প্রিয় আলাউদ্দিন ফকির। তার ভুমিকা অপরিসীম। আমি গোমা সেতু বাস্তবায়ন করতে যাদের সহযোগিতা পেয়েছি বিশেষ করে সড়ক ও জনপথ বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের । সেতু মন্ত্রলয়ের কর্মকর্তা কর্মচারী ও পরিকল্পনা মন্ত্রনালয়ের কর্মকর্তা কর্মচারীদের অভিনন্দন। সর্বপরি বাকেরগঞ্জবাসী ও আমার পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মাননীয় সড়ক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়েদুল কাদের এবং সড়ক ও সেতু মন্ত্রনালয় সংসদীয় কমিটির সদস্য জনাব নাজমুল হক প্রধান এমপিকে। যে যেখানেই থাকিনা কেন আসুন আমরা সবাই মিলে উন্নত বাকেরগঞ্জ গড়ি ।