ঘন কুয়াশায় দুর্ঘটনা এড়াতে ২১ জেলার প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত দেশের গুরুত্বপূর্ণ পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও বাংলাবাজার-শিমুলিয়া রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে বিআইডিব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ। রোববার (২৪ জানুয়ারি) যথাক্রমে রাত পৌনে ১১টা ও সোয়া ৯টার দিকে এসব রুটে ফেরি চালচাল বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। ফেরি চলাচল বন্ধ হওয়ায় ঘাটগুলোর উভয় পাশে যানবাহনের পরিমান বাড়ছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রোববার (২৪ জানুয়ারি) রাত পৌনে ১১টার দিকে পদ্মায় কুয়াশার ঘনত্ব বেড়ে গিয়ে নদীপথ অস্পষ্ট হয়ে ওঠায় দুর্ঘটনা এড়াতে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়।
এসময় মাঝ নদীতে যানবাহন ও যাত্রী নিয়ে আটকা পড়ে কয়েকটি ফেরি। এ ছাড়া ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় উভয় ঘাটে দীর্ঘ হচ্ছে যানবাহনের সারি এবং তীব্র শীতে ভোগান্তিতে পড়েছেন চালক ও যাত্রীরা।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার সহকারী ব্যবস্থাপক মাহবুব হোসেন বলেন, ‘সন্ধ্যা থেকে পদ্মায় কুয়াশার ঘনত্ব বাড়তে থাকে। রাত পৌনে ১১টার দিকে কুয়াশায় নদীপথ অস্পষ্ট হয়ে ওঠে। ফলে দুর্ঘটনা এড়াতে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। কুয়াশার ঘনত্ব কমে আসলে পুনরায় এই রুটে ফেরি চলাচল শুরু করা হবে। ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় সিরিয়ালে কিছু যানবাহন রয়েছে। ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হলে দ্রুত এসব যানবাহনের চাপ কমে যাবে। বর্তমানে এই রুটে ছোট-বড় ১৬টি ফেরি চলাচল করছে।’
এদিকে, ঘন কুয়াশার কারণে বাংলাবাজার-শিমুলিয়া রুটে রাত সোয়া ৯টা থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়। বিআইডব্লিউটিসির বাংলাবাজার ঘাট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ঘাট সূত্র জানিয়েছে, সন্ধ্যা থেকেই কুয়াশা পড়তে শুরু করে। রাত ৯টার দিকে প্রচুর কুয়াশা পড়ায় নদীপথে অন্ধকার নেমে আসে। কুয়াশার প্রকোপে দিকনির্দেশনামূলক বাতি দেখা না যাওয়ায় দুর্ঘটনা এড়াতে রাত সোয়া ৯টা থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। এসময় শিবচরের বাংলাবাজার ঘাটে রোরো ফেরি এনায়েতপুরী পরিবহন লোড করে ঘাটেই নোঙর করে রাখে। এ ছাড়াও উভয় ঘাট থেকে ছেড়ে আসা একাধিক ফেরি পদ্মা নদীর বিভিন্ন স্থানে নোঙর করে আছে।
বিআইডব্লিউটিসির বাংলাবাজার ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘কুয়াশার পরিমান বেড়ে যাওয়ায় পথ-ঘাট দেখা যাচ্ছে না। নৌপথে কুয়াশার পরিমান আরো বেশি। দুর্ঘটনা এড়াতে রাত সোয়া ৯টা থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।’