৮৩৬ টাকার পাঞ্জাবি ১ হাজার ২১১ টাকায় বিক্রি করায় রাজধানীর বাসাবো আড়ং আউটলেটকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, সম্প্রতি কাওছার আহমেদ নামের এক ক্রেতা বাসাবো আড়ং আউটলেট থেকে একটি পাঞ্জাবি কেনেন ৮৩৬ টাকায়। একই পাঞ্জাবি পরবর্তীতে কিনতে গেলে দাম রাখা হয় ১ হাজার ২১১ টাকা। এ বিষয়ে কাওছার আহমেদ আড়ংয়ের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরে। ভোক্তার এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে শুনানিতে বিষয়টি প্রমাণ হয়। এটা গ্রাহকের সঙ্গে প্রতারণা। এ অপরাধে আড়ংয়ের বাসাবো আউটলেটকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
গত ৩ জুন ৭০০ টাকার পাঞ্জাবি ১ হাজার ৩০০ টাকায় বিক্রি করায় উত্তরায় আড়ং শোরুমকে সাড়ে চার লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছিল।
অধিদফতরের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ারের সার্বিক তত্ত্বাবধানে অভিযান পরিচালনা করেন অধিদফতরের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল জব্বার মণ্ডল।
মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার জানান, গত ২৫ মে এক ক্রেতা উত্তরা আড়ং থেকে একটি পাঞ্জাবি কেনেন ৭৩০ টাকায়। একই পাঞ্জাবি ৩১ মে কিনতে গেলে দাম রাখা হয় ১ হাজার ৩০৭ টাকা। অধিদফতরে এমন অভিযোগ করেন এক ভোক্তা। এ পরিপ্রেক্ষিতে উত্তরা আড়ংয়ে অভিযান চালিয়ে এর সত্যতা পায় অধিদফতর। আড়ং অভিনব কায়দায় বেশি দাম লিখে ভোক্তাদের ঠকাচ্ছে। কী অবাক করা বিষয় ছয়দিনে একটি পাঞ্জাবির দাম বেড়েছে ৬০০ টাকা। যার কোনো কারণ জানাতে পারেনি আড়ংয়ের শোরুমের কর্মকর্তারা।
তিনি জানান, আড়ং একটি ব্র্যান্ড। দেশি ভালো পণ্য বিক্রি করে বলে তাদের প্রতি ক্রেতাদের রয়েছে আস্থা ও সরল বিশ্বাস। এটি পুঁজি করে কৌশলে ক্রেতাদের ঠকাচ্ছে, যা ভোক্তা আইনপরিপন্থী। এ অপরাধে তাদের সাড়ে চার লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।