পাকিস্তানের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রীর নাম ঘোষণা

:
: ৭ years ago

পাকিস্তানের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল পাকিস্তান মুসলিম লীগ (পিএমএল)-এন’র নেতা, দেশটির পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক সম্পদ মন্ত্রী শহীদ খাকান আব্বাসির নাম ঘোষণা করা হয়েছে।

বৈঠকে পিএমএল-এন’র রাজনৈতিক কৌশল নিয়ে আলোচনা করা হয়। পদচ্যুত নওয়াজের ছোট ভাই পাঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের সমর্থনে দলীয় সমাবেশেরও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

পদচ্যুত প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের নেতৃত্বে শনিবার বিকেলে পৃথক দুটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শহীদ খাকান আব্বাসির নাম ঘোষণা করে (পিএমএল)-এন। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী পদে নওয়াজের ছোট ভাই শেহবাজ শরিফের নাম চূড়ান্ত করা হয়েছে।

পাকিস্তানের প্রভাবশালী দৈনিক ডন এক প্রতিবেদনে বলছে, শুক্রবার পর্যন্ত পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক সম্পদ মন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা শহীদ খাকান আব্বাসিকে অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার প্রস্তাব করেছে পিএমএল-এন। পদচ্যুত প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের আসনে উপ-নির্বাচনে শেহবাজ নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত শহীদ খাকান আব্বাসি অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করবেন।

 

ডন বলছে, পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে প্রদেশের আবগারি ও শুল্ক মন্ত্রী মুজতবা সুজাউর রেহমান শেহবাজের স্থলাভিষিক্ত হতে পারেন।

উল্লেখ্য, পানামা পেপারস কেলেঙ্কারিতে নওয়াজ ও তার পরিবারের তিন সদস্যের নাম উঠে আসার পর শুক্রবার পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট নওয়াজ শরিফকে প্রধানমন্ত্রী পদে অযোগ্য ঘোষণা করে রায় দেন। এর পরপরই প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে নওয়াজের পদত্যাগের ঘোষণা দেয়া হয়।

তবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দায়িত্ব শেষ পর্যন্ত শেহবাজ শরিফের হাতেই যাচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। দেশটির পার্লামেন্টে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল পাকিস্তান মুসলিম লীগ (পিএমএল)-এন’র সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। এককভাবে ভোটাভুটির মাধ্যমেও তাকে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করতে পারে দলটি।

তবে নওয়াজ শরিফের জাতীয় পরিষদের শূন্য আসনেও লড়তে পারেন তিনি; এই আসন পাকিস্তান মুসলিম লীগ-এন’র শক্তিশালী ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। শেহবাজ শরিফকে প্রধানমন্ত্রী পদে দলীয় সমর্থন দেয়ায় পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করতে হবে তাকে। একই সঙ্গে পাঞ্জাবের নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবেও একজনকে বেছে নিতে হবে।

২০১৩ সালে দেশটির সাধারণ নির্বাচনে মনোনয়ন পত্রে সংযুক্ত আরব আমিরাতভিত্তিক প্রতিষ্ঠান এফজেডই’র চেয়ারম্যান পদে থাকার তথ্য গোপন করেন নওয়াজ। এই অভিযোগে পাক সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ তাকে দেশটির সরকারি কোনো অফিসের দায়িত্বের অযোগ্য হিসেবে ঘোষণা দেন।