পাওয়ার গ্রিডের সাবেক উপব্যবস্থাপকের ৩ বছরের কারাদণ্ড

:
: ৬ years ago

সম্পদ বিবরণী দাখিল না করায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেডের সাবেক উপব্যবস্থাপক (সাময়িক বরখাস্ত) আরশাদ হোসেনকে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

সোমবার ঢাকার ১ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আতাউর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাকে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন দুদকের কোর্ট পরিদর্শক আশিকুর রহমান।

এ ছাড়াও আরশাদ হোসেন আদালতে হাজির না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, আরশাদ হোসেনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালে অর্থপাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানে নামে দুদক। অনুসন্ধান শেষে তদন্ত কর্মকর্তা আসামির বিরুদ্ধে সম্পদ বিবরণী দাখিলের সুপারিশসহ কমিশনে প্রতিবেদন দাখিল করেন।

এরপর দুদক আসামিকে সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিশ দেয়। ২০১০ সালের ২ মে দুদকের উপ-পরিচালক গোলাম শাহরিয়ার চৌধুরীর স্বাক্ষরে সাত কার্য দিবসের মধ্যে সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিশ ইস্যু করা হয়।

৪ মে আসামি নিজে স্বাক্ষর করে সম্পদ বিবরণীর নোটিশ গ্রহণ করেন। ১১ মে আসামি সম্পদ বিবরণী দাখিলের জন্য আরও সাত দিন সময় চেয়ে কমিশনে আবেদন করেন। কমিশন তার আবেদন মঞ্জুর করে। এরপর সম্পদ বিবরণী দাখিলের জন্য আরও সাত কার্য দিবস সময় দেয়া হয়। ২৩ মে বর্ধিত সময়ের মেয়াদ শেষ হয়। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ে তিনি সম্পদ বিবরণী দাখিল করেননি।

২০১০ সালের ২৮ জুন দুদক আরশাদ হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করার অনুমোদন দেয়। এরপর ২৯ জুন রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদক। ২০১২ সালের ৫ আগস্ট দুদকের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহিম তার বিরুদ্ধে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেন। মামলায় বিভিন্ন সময়ে পাঁচজন সাক্ষ্য প্রদান করেন।