একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে দুই ধাপে পাঁচ সিটি করপোরেশনে ভোট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এর মধ্যে মে মাসের দ্বিতীয়ার্ধে প্রথম ধাপে ভোট হবে গাজীপুর ও খুলনা সিটি করপোরেশনে। এজন্য ৩১ মার্চ তফসিল ঘোষণা হবে এ দুই সিটির। আর দ্বিতীয় ধাপে ঈদুল ফিতরের পর ভোট হবে রাজশাহী, সিলেট ও বরিশাল সিটিতে। এদিকে সিটি ভোটের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। মাঠ কর্মকর্তাদের ভোটার তালিকার সিডিসহ ভোট কেন্দ্রের প্রাথমিক তালিকা করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে এসব সিটির প্রার্থীরা দলীয় কর্মকাণ্ডের বাইরেও ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন, গণসংযোগ করছেন।
এ বিষয়ে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ জানান, গাজীপুর ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল ৩১ মার্চ ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। নির্ধারিত সময় রেখেই এ ভোটের তারিখ নির্ধারণ করবে ইসি। পাঁচ সিটি করপোরেশনের মধ্যে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের পাঁচ বছর মেয়াদ পূর্ণ হবে ৪ সেপ্টেম্বর, খুলনার ২৫ সেপ্টেম্বর, রাজশাহীর ৫ অক্টোবর, সিলেটের ৮ অক্টোবর ও বরিশালের ২৩ অক্টোবর।
গাজীপুর সিটি করপোরেশনে ২০১৩ সালের ৬ জুলাই ও খুলনা সিটিতে ২০১৩ সালের ১৫ জুন ভোট হলেও সিটি প্রথম সভা সেপ্টেম্বরে হয়েছিল। সে হিসাবে মার্চেই ভোটের দিনক্ষণ শুরু হয়েছে। এ দুই সিটির ভোটের মেয়াদ শেষ হবে ২০১৮ সালের ৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে। মেয়াদ শেষ হওয়ার ১৮০ দিন আগের সময়ে ভোটের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তাই নির্বাচন কমিশন ১০ মে ভোটের সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করেছে। ইসি কর্মকর্তারা জানান, ২ এপ্রিল থেকে ৪ মে পর্যন্ত এইচএসসি পরীক্ষা রয়েছে। ১৭ মে মাহে রমজান শুরু হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে ৪০-৪৫ দিন সময় রেখে মে’র দ্বিতীয়ার্ধে দুটি নির্বাচন এক দিনে করা হবে। বাকি তিন সিটি করপোরেশনের ভোটও এক দিনে করার পরিকল্পনা রয়েছে। সে ক্ষেত্রে ঈদের পর সুবিধাজনক সময়ে ভোট করবে ইসি। সিইসি কে এম নূরুল হুদা ইতিমধ্যে বলেছেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আগামী জুলাইয়ের মধ্যে পাঁচ সিটি করপোরেশনে নির্বাচন করা হবে। এ নিয়ে কমিশনের সভায় সিদ্ধান্ত হবে। চলতি বছরের ডিসেম্বর অথবা আগামী জানুয়ারির মাঝামাঝি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে বলে জানান সিইসি।
গাজীপুর সিটিতে ভোট হয়েছে ২০১৩ সালের ৬ জুলাই। প্রথম সভা হয় ২০১৩ সালের ৫ সেপ্টেম্বর। আইন অনুযায়ী এ সিটির মেয়াদ পূর্ণ হবে আগামী ৪ সেপ্টেম্বর। গত ৮ মার্চ নির্বাচনের দিন গণনা শুরু হয়েছে এ সিটিতে। খুলনা সিটিতে ভোট হয়েছে ২০১৩ সালের ১৫ জুন। প্রথম সভা হয় ২০১৩ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর। এ সিটির মেয়াদ পূর্ণ হবে আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর। ৩০ মার্চ নির্বাচনের দিন গণনা শুরু হবে। রাজশাহী সিটিতে ভোট হয়েছে ২০১৩ সালের ১৫ জুন। প্রথম সভা হয় ২০১৩ সালের ৬ অক্টোবর। এ সিটির মেয়াদ পূর্ণ হবে আগামী ৫ অক্টোবর। ৯ এপ্রিল নির্বাচনের দিন গণনা শুরু হবে। সিলেট সিটিতে ভোট হয়েছে ২০১৩ সালের ১৫ জুন। প্রথম সভা হয় ২০১৩ সালের ৯ অক্টোবর। এ সিটির মেয়াদ পূর্ণ হবে আগামী ৮ অক্টোবর। ১২ এপ্রিল নির্বাচনের দিন গণনা শুরু হবে। বরিশাল সিটিতে ভোট হয়েছে ২০১৩ সালের ১৫ জুন। প্রথম সভা হয় ২০১৩ সালের ২৪ অক্টোবর। এ সিটির মেয়াদ পূর্ণ হবে আগামী ২৩ অক্টোবর। ২৭ এপ্রিল নির্বাচনের দিন গণনা শুরু হবে।