 
                                            
                                                                                            
                                        
এই ঢাকা প্রিমিয়ার লিগেই গত ফেব্রুয়ারিতে প্রাইম দোলেশ্বরের বিপক্ষে ১০৪ রানের ইনিংস খেলেছিলেন মোহাম্মদ আশরাফুল। প্রায় ৯ বছর পর আসরটিতে সেটা ছিল তাঁর প্রথম সেঞ্চুরি। তখন কী কেউ ভেবেছিল এ কেবল শুরু!
আশরাফুলকে নিয়ে এই প্রত্যাশা যেমন নতুন কিছু নয়, তেমনি প্রত্যাশায় জল ঢালতেও তিনি সিদ্ধহস্ত। সেই সেঞ্চুরির পর মাঝে আরও তিন ম্যাচ খেলেছেন ফিক্সিংয়ের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে গত বছর ঘরোয়া ক্রিকেটে ফেরা এ ব্যাটসম্যান। এই তিন ম্যাচে তাঁর স্কোরগুলো দেখুন—৮, ০ এবং ০। সর্বশেষ দুই ম্যাচ মিলিয়ে জোড়া চশমা আর কি! কিন্তু পরের ম্যাচেই অর্থাৎ আজ তুলে নিয়েছেন আসরের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি!
আশরাফুল আসলে এমনই। ব্যাট হাতে তাঁর ধারাবাহিকতা কিংবা অধারাবাহিকতারও কোনো ধারাবাহিকতা আছে কি না, তা সত্যিই গবেষণার বিষয়। তবে বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে আজ অগ্রণী ব্যাংকের বিপক্ষে কলাবাগান ক্রীড়াচক্রের ৫ উইকেটে জয়ে নেপথ্য নায়ক কিন্তু একা আশরাফুল নন। ওপেনিংয়ে নেমে দারুণ এক সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন তাসামুল হক (১০৬)। কিন্তু আশরাফুল যা পেরেছেন, সেটা আবার তাসামুল পারেননি, অর্থাৎ উইকেটে থেকে ম্যাচটা জিতিয়ে আসতে পারেননি।
আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৯ উইকেটে ২৫২ রান তুলেছিল অগ্রণী ব্যাংক। দলটির ওপেনার শাহরিয়ার নাফিস এ ম্যাচটা মনে রাখবেন শুধু সেঞ্চুরি থেকে ১ রান দূরে থাকতে আউট হওয়ার জন্য। জবাবে ৪১তম ওভারের শেষ বলে তাসামুল যখন আউট হলেন জয় থেকে তখনো ৫৪ বলে ৪৪ রানের দূরত্বে পিছিয়ে ছিল কলাবাগান। আশরাফুল ১০২ রানে অপরাজিত থেকে ৮ বল হাতে রেখে এই অসম্পূর্ণ কাজটুকুই শেষ করে এসেছেন। ১০ বাউন্ডারিতে ১৩৬ বলে ইনিংসটি সাজান তিনি।শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের বিপক্ষে টানটান উত্তেজনার ম্যাচটা শাইনপুকুর জিতেছে শেষ বলে, সেটাও আবার ১ উইকেট হাতে রেখে!
আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৩ উইকেটে ২৬৮ রান তুলেছিল রূপগঞ্জ। ওপেনিংয়ে নেমে মাত্র ৭ রানের জন্য সেঞ্চুরি পাননি রূপগঞ্জের মোহাম্মদ নাঈম। শেষ দিকে ভারতের পারভেজ রাসুলের ৬৬ বলে ৮৮ রানের ইনিংসে আড়াইশোর্ধ্ব স্কোর পায় রূপগঞ্জ। জবাবে শাইনপুকুরের হয়েও রুখে দাঁড়ান এক ওপেনার—সাদমান ইসলাম। তাঁর ৯৫ রানের ইনিংসে জয়ের পথেই ছিল শাইনপুকুর। মিডলঅর্ডারে ৬১ রানের ইনিংস খেলে দলকে আরও এগিয়ে নেন ভারতের উদয় কাউর।
জয়ের জন্য শেষ দুই ওভারে ১৮ রান দরকার ছিল শাইনপুকুরের। হাতে ছিল ২ উইকেট। মোহাম্মদ শরীফের করা ৪৯তম ওভারে ১১ রান নিয়ে জয়ের প্রাথমিক কাজটুকু সেরে ফেলেন শাইনপুকুরের সাইফউদ্দিন। শেষ ওভারে তাঁদের দরকার ছিল ৭ রান। এই পরিস্থিতিতে মোহাম্মদ শহীদের প্রথম চার বল থেকে আসে ৬ রান। অর্থাৎ ম্যাচ টাই। পরের বলেই সাইফউদ্দিনকে তুলে নিয়ে অবিশ্বাস্য কিছুর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন রূপগঞ্জের পেসার শহীদ। কিন্তু শেষ বলে বাউন্ডারি মেরে সব উত্তেজনার অবসান ঘটান রায়হান উদ্দিন।
ফতুল্লায় ব্রাদার্স ইউনিয়ন-খেলাঘর ম্যাচেও উত্তেজনার রেণু উড়েছে। আগে ব্যাটিংয়ে নেমে মাত্র ১৮৭ রানে গুটিয়ে যায় ব্রাদার্স। জবাবে খেলাঘর ৩ উইকেটে ম্যাচটা জিতেছে মাত্র ৩ বল হাতে রেখে!