পশ্চিমবঙ্গে তীব্র গরমে সরকারি স্কুলে ছুটি, সূচি বদল বেসরকারি স্কুলে

লেখক:
প্রকাশ: ৭ মাস আগে

ভয়ংকর তাপপ্রবাহে পুড়ছে কলকাতাসহ গোটা পশ্চিমবঙ্গ। সকাল থেকেই সূর্যের চোখরাঙানিতে নাজেহাল মানুষ। এরই মধ্যে বিশেষ সতর্কতা জারি করেছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। প্রয়োজন ছাড়া রাস্তায় বেরোতে নিষেধ করছেন চিকিৎসকেরাও।

পশ্চিমবঙ্গে তাপপ্রবাহের জন্য গত ২২ এপ্রিল সরকারি এবং সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলগুলোতে ছুটি ঘোষণা করেছে রাজ্যের শিক্ষা দপ্তর। সাধারণত মে মাস থেকে শুরু হয় গরমের ছুটি। কিন্তু এবার এপ্রিলেই তীব্র গরমের কারণে স্কুলে আসতে অসুবিধায় পড়তে হচ্ছিল শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে শিক্ষক, অশিক্ষক কর্মী সবাইকেই। তাদের কথা মাথায় রেখে আগেভাগেই গরমের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে সরকারি স্কুলগুলোতে। কিন্তু, সেই সুবিধা পাচ্ছেন না রাজ্যের বেসরকারি স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। তাদের জন্য এখনো গরমের ছুটি ঘোষণা করা হয়নি।

রাজ্য শিক্ষা দপ্তর থেকে সম্প্রতি একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে গরমের ছুটি এগিয়ে আনা অথবা বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে বিবেচনা করতে বলা হয়েছিল।

এর পরিপ্রেক্ষিতে সময়সূচি পরিবর্তন করা হয়েছে বিভিন্ন বেসরকারি স্কুলে। আগে রাজ্যের বেসরকারি স্কুলগুলোতে সাধারণত সকাল ১০টায় শুরু হতো পাঠদান। তীব্র গরমে কারণে সেটি এগিয়ে আনা হয়েছে সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে। আর ছুটি হচ্ছে ১০টা ৩০ মিনিটে। অর্থাৎ, গরমের তীব্রতা চূড়ায় পৌঁছানোর আগেই ছুটি হয়ে যাচ্ছে বেসরকারি স্কুলগুলো।

এ বিষয়ে সেন্ট জুডস হাইস্কুলের প্রিন্সিপাল অদিতি রায় জানান, আমাদের ছুটির ক্যালেন্ডার এরই মধ্যে প্রকাশিত হয়েছে। গরমের ছুটি আগামী ১৩ মে থেকে শুরু হবে। সরকারি নির্দেশিকা অনুসারে শিক্ষার্থীদের স্বার্থে ক্লাসের সময় পরিবর্তন করার বিষয়টি বিবেচনা করছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। প্রয়োজনে অনলাইনে ক্লাস করানো হবে।

এছাড়া, ক্লাসরুমগুলোতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি) লাগানো হচ্ছে, যাতে গরমে শিক্ষার্থীদের অসুবিধা না হয়। অনেক স্কুল শিক্ষার্থীদের আনতে বাড়ির দোরগোড়া পর্যন্ত গাড়ি পাঠাচ্ছে।

পানিহাটির বাসিন্দা স্বপ্না দেবনাথের ছেলে মুহুল দেবনাথ স্থানীয় একটি বেসরকারি স্কুলের সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে।

স্বপ্না দেবনাথ বলেন, এই গরমে সকালে ক্লাস শুরু হওয়ায় ভালো হয়েছে। সকালে ছেলের উঠতে একটু অসুবিধা হয়। তবুও গরমের হাত থেকে রক্ষা পেতে একটু কষ্ট করতে হচ্ছে। তীব্র গরমে স্কুলের বাইরে আমাদের দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে না। স্কুল থেকে গাড়ি আসছে বাড়িতে এবং ছুটি হলে আবার পৌঁছে দিয়ে যাচ্ছে।