পরিক্ষা দিতে এসে যে কারণে গ্রেপ্তার হলেন ৩ এসএসসি পরীক্ষার্থী

লেখক:
প্রকাশ: ৭ years ago

রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়িতে সপ্তম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের পর ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে তিন এসএসসি পরীক্ষার্থীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার আমতলী ইউনিয়নের পাবলাখালী বাজার এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করে বৃহস্পতিবার সকালে বাঘাইছড়ি থানায় চালান দিয়েছে আমতলীর পাবলাখালী ফাঁড়ির পুলিশ। তারা আমতলী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।

গ্রেফতার হওয়ায় বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া চলতি এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি এ তিন পরীক্ষার্থী। তারা হলো- ওই ইউনিয়নের সর্দার পাড়ার বাসিন্দা আবদুস সালামের ছেলে মো. নাঈম হোসেন (১৭), মজিবুর রহমানের ছেলে মো. ফরহাদ হোসেন (১৬) ও মো. হাফিজ উল্লাহ রাহিদ (১৭)।

স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ঘটনাটি ঘটে গত ৪ নভেম্বর। এদিন আমতলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ওই তিন শিক্ষার্থী একই বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীটিকে বাগানে নিয়ে তার হাত-পা বেঁধে ধর্ষণ করে এবং এক সহপাঠীকে দিয়ে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করায়। লজ্জায় এবং ভয়ে এতদিন ঘটনাটি প্রকাশ করেনি ওই ছাত্রী। কিন্তু পরে ধর্ষণের ওই ভিডিও নিজেদের ফেসবুক আইডি থেকে ছড়িয়ে দেয় ধর্ষকরা।

এতে ঘটনাটি ফাঁস হয়। ওই ভিডিও সবার মোবাইলে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওচিত্র ধরে ধর্ষকদের চিহ্নিত করে বুধবার সন্ধ্যায় তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে ভিডিও ধারণকারী এখনও অধরা।নির্যাতিত স্কুলছাত্রীর বড় ভাই ও আমতলী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মো. রুবেল জানান, ঘটনাটি গত ৪ নভেম্বর ঘটলেও আমরা কেউ জানতাম না। মোবাইলে ধারণকৃত ভিডিও দেখে বিষয়টি জানতে পারি। এতদিন লজ্জায় ঘটনাটি কাউকে বলেনি তার বোন। কিন্তু যারা ঘটনাটি ঘটিয়েছে তারা নিজেরাই ভিডিও প্রকাশ করেছে।

আমতলী ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পরিমল কুমার মন্ডল জানান, ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার তিন পরীক্ষার্থী চলতি এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি। তাদের শাস্তি হওয়া উচিত।

আমতলী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. রাসেল চৌধুরী জানান, এ তিন এসএসসি পরীক্ষার্থীকে একই বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার হয়।

বাঘাইছড়ি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, ২০১৭ সালের ৪ নভেম্বর ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় ওই তিন এসএসসি পরীক্ষার্থীর বিরুদ্ধে বাঘাইছড়ি থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণ মামলা করেন ওই ছাত্রীর বাবা আবদুর রউফ।