টাঙ্গাইলের সখীপুরে নিলুফা আক্তার নামে এক গৃহবধূকে হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। নিলুফা আক্তার পরকীয়া প্রেমে আসক্ত হয়ে পড়ায় তার স্বামী জাহাঙ্গীর আলম মেহেদী তাকে হত্যা করেছেন।
টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক নওরিন মাহবুবার আদালতে বৃহস্পতিবার দেয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে জাহাঙ্গীর আলম মেহেদী এ কথা জানিয়েছে বলে জানান জেলা ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শ্যামল দত্ত।
এর আগে ভোরে উপজেলার হামিদপুর বাজার এলাকা থেকে এ হত্যাকাণ্ডের মূল আসামি ঘাতক জাহাঙ্গীর আলম মেহেদীকে গ্রেফতার করে জেলা ডিবি পুলিশ।
গ্রেফতার জাহাঙ্গীর আলম মেহেদী বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলা সদরের বাবলু প্রামাণিকের ছেলে।
জেলা ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শ্যামল দত্ত বলেন, মেহেদী জবানবন্দিতে জানিয়েছেন, তিনি সখীপুর পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের জেলখানা মোড় সংলগ্ন আব্দুল হামিদের বাসার একটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে স্ত্রী নিলুফা আক্তারকে নিয়ে বসবাস করতেন। ফারুক নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে পরকীয়ায় আসক্ত হয়ে পড়েন তার স্ত্রী নিলুফা আক্তার। এতে ক্ষোভে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। পরে মরদেহ ঘরে ফেলে রেখেই পালিয়ে যান মেহেদী।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২৮ অক্টোবর সখীপুর পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের জেলখানা মোড় সংলগ্ন আব্দুল হামিদের বাসার একটি কক্ষ থেকে নিলুফা আক্তার নামে এক গৃহবধূর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে সখীপুর থানা পুলিশ। এ ঘটনায় ওই দিনই নিহত গৃহবধূ নিলুফা আক্তারের বাবা সরুজ আলী বাদী হয়ে জামাই জাহাঙ্গীর আলম মেহেদীর নাম উল্লেখ করে সখীপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।