সাভারে পরকীয়ার কথা প্রকাশ্যে আনার সন্দেহে ষষ্ঠ শ্রেণি পড়ুয়া আমেনা আক্তার রত্না (১২) নামের এক শিক্ষার্থীকে মারধর করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী এক দম্পতির বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকেই তারা পলাতক রয়েছেন।

রত্নার মৃত্যু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাউন্দিয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ সুব্রত কুমার। এর আগে, শুক্রবার (১৯ আগস্ট) রাতে রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ওই স্কুলছাত্রীর মৃত্যু হয়।

আমেনা আক্তার রত্না সাভারের কাউন্দিয়া ইউনিয়নের বুড়িরটেক দক্ষিণ কাউন্দিয়া এলাকার মো. রতন মোল্লার মেয়ে। সে কাউন্দিয়ার শহীদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।

অভিযুক্তরা হলেন- একই এলাকার ব্যবসায়ী জালাল (৩৫) ও তার স্ত্রী লাইলি (৩০)।

রত্নার ভাবী মীম আক্তার বলেন, ‘কয়েকদিন আগে স্থানীয় দোকানদার জালালের দোকানে যায় রত্না। এ সময় জালালের সঙ্গে পরকীয়া জনিত কথা নিয়ে বাক বিতণ্ডা করছিলেন তার স্ত্রী লাইলি। ওই দিনের পর জালালের পরকীয়ার বিষয়টি স্থানীয়ভাবে ছড়িয়ে পরে।’

তিনি আরও বলেন, ‘গত ১৭ আগস্ট জালাল ও তার স্ত্রী বাড়িতে এসে রত্নার কাছে জানতে চায়, পরকীয়ার তথ্য এলাকায় কে ছড়িয়েছে। বিষয়টি রত্নার জানা নেই বললে ক্ষিপ্ত হয়ে রত্নাকে মারধর করে তারা। এতে রত্না গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানেই শুক্রবার রাতে সে মারা যায়।’

কাউন্দিয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ সুব্রত কুমার বলেন, ‘ওই কিশোরীর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। যে আলামত পাওয়া যাবে সে অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’