হজের পূর্বে যা জানা প্রয়োজন
ইহরাম
ইহরাম বাঁধা মূলত হজের নিয়ত করা। পুরুষের জন্য দুই খানা সেলাইবিহীন চাদর পরিধান করা এবং মাথা ও মুখমণ্ডল খোলা রাখা হয়। মহিলাদের জন্য মুখ ও দুই হাতের কব্জি পর্যন্ত খোলা রাখতে হয়।
সাঈ
সাফা ও মারওয়াহ পাহাড় দুটির মাঝে সাতবার প্রদক্ষিণ করাকে সাঈ বলা হয়।
হাদি
হজের কোরবানি (তামাত্তু ও কেরান আদায়কারীদের ওপর ওয়াজিব)।
তাওয়াফ
পবিত্র কাবাঘরকে সাতবার প্রদক্ষিণ করাকে তাওয়াফ বলে।
তাওয়াফে ইফাদা/জিয়ারাহ
হজের ফরজ তাওয়াফ যা আরাফাত, মুজদালিফা ও মিনার প্রথম দিনের কাজ শেষে মক্কায় এসে সম্পন্ন করতে হয়।
বিদায়ী তাওয়াফ
হজ বা ওমরাহর যাবতীয় কাজ শেষে মক্কা ত্যাগের পূর্বের তাওয়াফ।
ইজতেবা
পুরুষের ইহরামের চাদরকে ডান বগলের নিচে দিয়ে এনে বাম কাঁধে রেখে ডান কাঁধ খালি রাখা।
রমল
মক্কায় পৌঁছে প্রথম তাওয়াফের প্রথম তিন চক্করে পুরুষরা ছোট ছোট পদক্ষেপে সামান্য দৌড়ের ভঙ্গিতে দুই হাত দুলিয়ে চলা।
হাতিম
কাবাঘরের রুকনে ইয়ামেনি ও রুকনে শামির মাঝে দেয়াল ঘেরা অর্ধচক্রাকৃতি অংশ যা পূর্বে কাবাঘরের অংশ ছিল।
রমি
রমি অর্থ কঙ্কর নিক্ষেপ। হাজীসাহেবগণ ১০ জিলহজ বড় জামারাহে, ১১ জিলহজ মেজ জামারাহে ও ১২ জিলহজ ছোট জামারাহে সাতটি করে কঙ্কর নিক্ষেপ করেন। কঙ্কর নিক্ষেপ করা ওয়াজিব।
দম
হজ বা ওমরাহ আদায়ে কোনো ওয়াজিব ছুটে গেলে অথবা ইহরাম নষ্ট হয় এমন কাজ করলে হারাম এলাকার ভিতরে একটি পশু কোরবানি করে গরিবদের মাঝে বিতরণ করতে হয়।
মাবরুর হজ
যে হজে হাজীকে কোনো গোনাহ স্পর্শ করে না এমন হজকে মাবরুর হজ বলে।
এখনই নিবন্ধন করুন
পাসপোর্ট করা
হজযাত্রীরা নিজ নিজ জেলা অনুযায়ী পাসপোর্ট কার্যালয় থেকে ওই জেলায় বসবাসকারীরা এমআর পাসপোর্ট বানাতে পারবেন। পাসপোর্টের আবেদনপত্রসহ আরও তথ্য www.passport.gov.bd ঠিকানায় পাওয়া যাবে।
অনলাইনে প্রাক-নিবন্ধন সহায়ক তথ্য
হজযাত্রীদের প্রাক-নিবন্ধন, নিবন্ধন এবং সর্বশেষ নির্দেশনা, সংবাদ ও প্রয়োজনীয় ফরম ডাউনলোড করা যাবে অনলাইনে www.hajj.gov.bd ঠিকানায় দেখুন।
গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য
♦ এমআরপি পাসপোর্ট সংগ্রহ করুন ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ পর্যন্ত মেয়াদ থাকতে হবে ।
♦ প্রত্যেক হজযাত্রীকে তার পাসপোর্টের সঙ্গে মক্কা ও মদিনার ভাড়াকৃত বাড়ি বা হোটেলের স্টিকার সংযুক্ত করতে হবে।
♦ এ বছর থেকে পুলিশ ভেরিফিকেশন সার্টিফিকেটের প্রয়োজন হবে না।
♦ যারা ২০১৫, ২০১৬ ও ২০১৭ সালে হজ করছেন, ২০১৮ সালে পুনরায় হজ করলে ২,১০০ সৌদি রিয়াল পরিশোধ করতে হবে।
♦ প্রাক-নিবন্ধিত হজযাত্রী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্যাকেজের অবশিষ্ট অর্থ জমা দেবেন।
♦ এজেন্সি ও হজযাত্রীর মধ্যে চুক্তির (ফরম-১৫) কপি হজযাত্রী সংরক্ষণ করবেন।
♦ যদি কেউ আলাদা ফ্লাইটে সফর করতে চান, তাহলে অবশ্যই আলাদাভাবে নিবন্ধন করবেন।
♦ ট্রলিব্যাগ হজযাত্রীকে নিজ দায়িত্বে ক্রয় করতে হবে।
প্রাক-নিবন্ধন বাতিল করতে চাইলে
প্রাক-নিবন্ধনের জন্য অগ্রিম টাকা প্রদান করে যদি কেউ হজে না যান, তাহলে প্রসেস ফি তিন হাজার টাকা বাদ দিয়ে বাকি টাকা ফেরত পাওয়া যাবে। টাকা জমা দেওয়া ব্যাংকের মাধ্যমে অনলাইনে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে আবেদন করতে হবে।
তথ্য পেতে যোগাযোগ করুন : ০৯৬০২৬৬৬৭০৭
এক নজরে হজের কার্যক্রম
♦ ইহরাম বাঁধা
♦ ৭-৮ জিলহজ মিনায় অবস্থান
♦ ৯ জিলহজ সূর্যোদয়ের পরে মিনা থেকে আরাফাতে অবস্থান এবং সূর্যাস্তের পর মুজদালিফায় যাওয়া
♦ ৯ জিলহজ মুজদালিফায় রাতযাপন
♦ ১০ জিলহজ মিনায় বড় জামরাহে (শয়তান) কঙ্কর মারা, কোরবানি করা, পুরুষের মাথা মুড়ানো
♦ ১২ জিলহজের মধ্যে তাওয়াফ জিয়ারত, সাঈ করা
♦ ১১, ১২ জিলহজ মিনায় জামরাহে (শয়তান) কঙ্কর মারা
♦ বিদায়ী তাওয়াফ
সব তথ্য পাবেন যেখানে
♦ ওয়েবসাইট : www.hajj.gov.bd
আরও তথ্য সহায়তায়
♦ ইউনিয়ন তথ্য সেবাকেন্দ্র
♦ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়
♦ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কার্যালয়
♦ পরিচালক, হজ অফিস, আশকোনা, ঢাকা
এবার খরচ কেমন
সরকারি ব্যবস্থাপনায় দুটি হজ প্যাকেজ রয়েছে। একটি প্যাকেজে হজযাত্রীর খরচ হবে ৩ লাখ ৯৭ হাজার ৯২৯ টাকা, অন্যটিতে খরচ হবে ৩ লাখ ৩১ হাজার ৩৫৯ টাকা। এ ছাড়া কোরবানির জন্য প্রতিটি প্যাকেজে আরও খরচ হবে সাড়ে ১০ হাজার টাকা (৫০০ রিয়াল)। হাব সূত্রে জানা গেছে, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় একাধিক প্যাকেজ রয়েছে। বেসরকারিভাবে সর্বনিম্ন খরচ নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ লাখ ৩২ হাজার ৮৬৮ টাকা। বিশেষভাবে লক্ষ্য করুন, ঘোষিত হজ প্যাকেজের চেয়ে কম টাকায় হজে গেলে প্রতারিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
হজের ফরজ ও ওয়াজিব
হজের ফরজ চারটি : এক. হজের নিয়ত করে পোশাক (সেলাইবিহীন দুই প্রস্থ সাদা কাপড় পুরুষের জন্য) পরিধান করা ও তালবিয়া একবার পড়া। এটাকে ইহরাম বলে।
দুই. ৯ জিলহজ আরাফায় অবস্থান করা।
তিন. জিয়ারতের তাওয়াফ বা ফরজ তাওয়াফের প্রথম চার চক্কর ফরজ, বাকি তিন চক্কর ওয়াজিব। এ তাওয়াফ ১০ জিলহজ করতে হয়। ১১-১২ তারিখেও এ তাওয়াফ করলে ফরজ আদায় হয়ে যাবে।
চার. এ ফরজগুলো নির্দিষ্ট স্থানে, নির্দিষ্ট সময়ে, নির্ধারিত ক্রমানুসারে আদায় করা।
হজের ওয়াজিব ৯টি : এক. সাফা ও মারওয়া পাহাড়ের মাঝে দ্রুত চলা। বর্তমানে হাজীদের সুবিধার জন্য এ পথের মাঝে খুব সহজে চোখে পড়ার মতো মাথার ডানে-বামে ও ওপরে সবুজ বাতির দুটি বেষ্টনী আছে। এই দুই বর্ডার লাইনের মধ্যে দৌড়ালেই ওয়াজিব আদায় হবে। এ দ্রুত চলাকে সাঈ বলে।
দুই. মুজদালিফায় অবস্থান করা। ৯ জিলহজ (আরাফাতে অবস্থানের দিন) দিবাগত রাতের যে কোনো সময়ে সেখানে পৌঁছানো এবং সূর্যোদয় পর্যন্ত অবস্থান করা।
তিন. শয়তানের স্তম্ভে (জামারাহে) পাথর মারা। এটাকে ‘রামি’ বলে।
চার. মক্কা শরিফের চতুর্দিকে ইহরাম বাঁধার যে নির্দিষ্ট স্থান রয়েছে, সেই পরিসীমার বাইরে যারা অবস্থান করে তাদের জন্য মক্কা শরিফে প্রবেশ করার পর সর্বপ্রথম খানায়ে কাবার তাওয়াফ করা। বাংলাদেশি হাজীদের জন্য এ তাওয়াফ ওয়াজিব। এ প্রাথমিক তাওয়াফকে ‘তাওয়াফে কুদুম’ বলে।
পাঁচ. বিদায়ী তাওয়াফ করা। খানায়ে কাবা থেকে শেষ বিদায়ের সময় (হজ থেকে ফেরার দিন) তাওয়াফ করা। এটা বহিরাগতদের জন্য ওয়াজিব, কাজেই এ দেশি হাজীদের এ তাওয়াফ ওয়াজিব।
ছয়. পুরুষের মাথা মুড়ানো বা চুল ছাঁটা। হজের আরকান শেষ করার পর মাথা মুড়িয়ে ফেলা অথবা চুল ছাঁটা। ১০ জিলহজ শয়তানের বড় স্তম্ভে (জামারাহে উকবায়) পাথর মারার পর মাথা মুড়িয়ে ফেলা বা চুল ছোট করা।
সাত. কোরবানি করা। বহিরাগত হাজীদের জন্য এটা ওয়াজিব।
আট. দুই নামাজ একত্রে পড়া।
অর্থাৎ আরাফাতের ময়দানে জোহর-আসর একত্রে এবং মুজদালিফায় মাগরিব-এশা একত্রে পড়া ওয়াজিব।
নয়. পাথর মারা (রামি), কোরবানি ও পুরুষের মাথা মুড়ানো ক্রমানুসারে করা।
হজযাত্রীর স্বাস্থ্য সচেতনতা
♦ হজ পালনে শারীরিকভাবে সামর্থ্যবান হওয়া দরকার। হজের শুরুতেই তাই শক্তি সঞ্চয়ের জন্য ধীরস্থির থাকতে হবে। অহেতুক ছোটাছুটি এখানে কাম্য নয়।
♦ হজের সময় রোদ এড়াতে কাপড় দিয়ে মাথা ঢেকে রাখা যেতে পারে। দরকার হলে মাথায় সাদা ছাতা ব্যবহার করতে হবে। গরমজনিত ঝুঁকি এড়াতে প্রচুর পানি পান করতে হবে। রাতে ভ্রমণ করতে হবে। কিছুটা লবণাক্ত খাবার এ সময়ে দরকার হয়, ঘামের সঙ্গে বেরিয়ে যাওয়া লবণের ঘাটতি মেটানোর জন্য।
♦ শরীরের পানি স্বল্পতা এড়াতে সঙ্গে বিশুদ্ধ পানি রাখতে হবে। অতিরিক্ত ঘামের কারণে সৃষ্ট শারীরিক অবসাদ কাটাতে খাবার স্যালাইন গ্রহণ করা যেতে পারে। এ খাবার স্যালাইন ডায়রিয়া হলেও উপকারে আসে। কাজেই সঙ্গে নিতে পারেন খাবার স্যালাইনও।
♦ বেশির ভাগ হাজী গলাব্যথা, কাশি, ঘন ঘন হাঁচি, সর্দি এবং জ্বরে ভুগে থাকেন। হঠাৎ পরিবেশ পরিবর্তনের জন্য এমনটি হয়ে থাকে।
এসব সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য সাধারণ কিছু ওষুধপত্র যেমন— ব্যথার জন্য প্যারাসিটামল, হাঁচি-সর্দির জন্য ফেক্সোফেনাডিন জাতীয় ওষুধ, কাশির জন্য এডোভাস সিরাপ কিংবা সিনেকড ট্যাবলেট গ্রহণ করা যেতে পারে। অল্প কিছু করে সঙ্গে নিয়ে যাওয়াই ভালো।
♦ হজের দিনগুলোতে সুষম খাবারের ঘাটতি দেখা দিতে পারে। সেই ঘাটতি পূরণে মাল্টিভিটামিন গ্রহণ করা উচিত।
♦ যদি কারও অ্যাজমা হাঁপানি থাকে তখন অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে হজব্রত পালনের পথে কীভাবে চলতে হবে সে বিষয়ে সম্যক ধারণা ও প্রস্তুতি থাকতে হবে।
প্রয়োজনীয় যে দ্রব্যসামগ্রী সঙ্গে নেবেন
ইহরামের কাপড় : পুরুষদের মোট ৫টা; পরার জন্য ৩টা, গায়ে দেওয়ার জন্য ২টা। হজে মহিলাদের স্বাভাবিক কাপড় পরা বৈধ।
কাপড় : পুরুষরা হজে হালাল অবস্থায় পরার জন্য কমপক্ষে ৩টা পাঞ্জাবি, দুটি পাজামা, দুটি লুঙ্গি, দুটি গেঞ্জি/ফতুয়া সঙ্গে নেবেন। মহিলারা সব সময় পরার জন্য কমপক্ষে চার সেট সালোয়ার-কামিজ, স্কার্ফ ও দুটো বোরকা সঙ্গে নেবেন। সবাইকে একটা তোয়ালে/গামছা, একটা চাদর, একটা কাঁথা, একটা ছোট বালিশ নিতে হবে।
সঙ্গে রাখতে পারেন— ছোট আয়না, চিরুনি, কাঁচি, রেজার, ব্লেড, সুই-সুতা, নাইলনের দড়ি ও প্লাস্টিকের একটা বড় বস্তা। এগুলো বড় ব্যাগে দেবেন। ধাতব পদার্থ ও দড়ি হ্যান্ডব্যাগে বহনে বিমানের নিষেধাজ্ঞা আছে। সাবান ২টা, সাবানের গুঁড়া ৫০০ গ্রাম, নীলের ছোট কৌটা একটা, নারিকেল/শর্ষের তেল ১০০ গ্রাম, ভেসলিন মাঝারি সাইজের একটা, টয়লেট পেপার ৩টা, টুথ পেস্ট একটা, ব্রাশ/মেসওয়াক দুটা, ছোট তালা-চাবি এক সেট।
জুতা : ইহরাম অবস্থায় পুরুষদের পরার জন্য দুই ফিতার স্যান্ডেল/জুতা দুই জোড়া, হালাল অবস্থায় পুরুষদের পরার জন্য সু/চামড়ার জুতা এক জোড়া। মহিলাদের জুতায় কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। তারা ২/৩ জোড়া আরামদায়ক জুতা সঙ্গে নেবেন। মসজিদে জুতা বহনের জন্য কাপড়ের ছোট ব্যাগ দুটো।
অল্প চিড়া ও গুড়, ২/৩ প্যাকেট বিস্কুট। চা-কফি পানে নির্ভরশীল ব্যক্তিদের জন্য— কফির ছোট কৌটা একটা, টি-ব্যাগের প্যাকেট একটা, গুঁড়া দুধ এক কৌটা, চিনি ৫০০ গ্রাম, আদা ১০০ গ্রাম, কফি হিটার একটা।
মেলামাইনের থালা একটা, গ্লাস একটা, মগ একটা, চা চামচ একটা, ফল কাটার ছোট চাকু একটা।
কোমরের বেল্ট, টাকার ব্যাগ, গলায় ঝোলানো ব্যাগ এগুলো বিভিন্ন সংস্থা প্রচার ও সওয়াবের নিয়তে হাদিয়া দিয়ে থাকে। তাই এগুলো আগে কেনার দরকার নেই।
বৈদেশিক মুদ্রা (রিয়াল/ডলার) সংগ্রহ : সরকারিভাবে ব্যাংকে অথবা বেসরকারি হজ কাফেলায় নির্ধারিত অঙ্কের টাকা জমা হলে খুব বেশি বৈদেশিক মুদ্রা সঙ্গে নেওয়ার দরকার নেই।
কোরবানি আপনার হজ প্যাকেজের মধ্যে না থাকলে ৫০ হাজার টাকার সমপরিমাণ রিয়াল অথবা ডলার কোরবানি, কেনাকাটা ও চা-নাস্তার জন্য যথেষ্ট।
হাত ব্যাগে যা নিতে পারবেন না
বিমানে উড্ডয়নকালে হাত ব্যাগে ছুরি, কাঁচি, নেলকাটার, রেজার, দড়ি নেওয়া যাবে না। বিমান কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থা অনুযায়ী বিমানে কোনো হজযাত্রী সর্বোচ্চ ৩০ কেজির বেশি মালামাল বহন করতে পারবেন না। নিবন্ধিত চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ব্যতীত কোনো ওষুধ নিতে পারবেন না। চাল, ডাল, শুঁটকি, গুড় ইত্যাদিসহ পচনশীল খাদ্যদ্রব্য যেমন : রান্না করা খাবার, তরি-তরকারি, ফলমূল, পান, সুপারি ইত্যাদি সৌদি আরবে নিয়ে যাওয়া যাবে না।
কিছু পরামর্শ
শুরু থেকেই সব ধরনের খরচ সম্পর্কে ধারণা রাখা প্রয়োজন। হজ প্যাকেজের সব ধরনের খরচ সম্পর্কে জেনে বাছাই করুন। চুক্তি করার আগেই বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করুন। বিমান ভাড়া, বাসা ভাড়া, হজের সময় মিনায় তাঁবুতে বা আজিজিয়ায় থাকা কিংবা না থাকা, ফিতরা ইত্যাদি আগে থেকে জেনে নিতে হবে।
এরপর নজর দিন হজ প্যাকেজে। কত দিন কোথায় অবস্থান করতে হবে সে বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নিন এজেন্টের কাছ থেকে। সৌদি আরবে অবস্থানের মেয়াদ কত দিন, কোথায় কত দিন অবস্থান এবং তা কীভাবে, বিস্তারিত জানতে হবে। মক্কা-মদিনায় বাসা কোথায়, তা কাবা শরিফ থেকে কত দূরে এসব বিষয় নিয়ে বিস্তারিত জেনে নেবেন। এ ছাড়া বাসায় কী ধরনের সুবিধা মিলবে সেটাও জিজ্ঞেস করে নিন। খাবারের ব্যাপারেও সব ধরনের প্রশ্নের জবাব আগেই নিয়ে রাখুন। হজে যাওয়ার আগেই স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে নিন। আপনি মানসিক ও শারীরিক সক্ষম কিনা তা নিশ্চিত না হয়ে হজ পরিকল্পনা অসম্পূর্ণ থেকে যাবে। হজের সফরে মানসিক ও শারীরিক সক্ষমতা খুবই জরুরি। ফিতরা বা স্থানান্তর (অর্থাৎ মক্কার বাসা কাবা শরিফের কাছে-দূরে একাধিকবার বদল করাকে ফিতরা বলে) আছে কিনা। হজের আগে না পরে ফিতরা হবে, তা জানতে হবে। হজের দিনগুলেতে মোয়াল্লেম কী কী সুবিধা দেবেন সেটা জানা চাই। হজের নিয়মকানুন আগে থেকেই ভালো করে জেনে, বুঝে নিন। ফরজ, ওয়াজিবগুলো সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা নিয়ে রাখবেন।
মক্কা-মদিনার পবিত্র স্থান