পদ্মা সেতু বাংলাদেশের অহংকার: সাবেক গভর্নর আতিউর রহমান

লেখক:
প্রকাশ: ৬ years ago

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর এবং উন্নয়ন সমন্বয়ের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান, ‘পদ্মা সেতু নির্মাণে দুর্নীতি হচ্ছে বলে বিশ্বব্যাংক যে মিথ্যা অভিযোগ করেছিলো বাংলাদেশ তা প্রত্যাখ্যান করার সৎ সাহস দেখিয়েছিলো এবং পরবর্তীতে নিজস্ব অর্থায়নে এই সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো। প্রধামন্ত্রীর নেওয়া এই সাহসী পদক্ষেপের কারণে সারা বিশ্বের সামনে একটি স্বাধীন-সার্বভৌম দেশ ও উদীয়মান অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে দেশের মর্যাদা বহুগুণে বেড়েছে। অচিরেই সম্পন্ন হতে যাওয়া এই মেগা প্রকল্প এখন আমাদের জাতীয় গৌরবের প্রতিচ্ছবি।’

বৃহস্পতিবার ঢাকায় পাঠক সমাবেশ কেন্দ্রে ‘পদ্মা সেতুর সাতকাহন’ শিরোনামের গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনন্যা প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত গ্রন্থটি লিখেছেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল মান্নান এবং বিশিষ্ট সমাজকর্মী সুভাষ সিংহ রায়।

তিনি বলেন, ‘পদ্মা সেতুর কাজ শেষ হলে মংলা বন্দরের সক্ষমতা উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বৃদ্ধি পাবে। পায়রা বন্দর ও কুয়াকাটা পর্যটন কেন্দ্রসহ পদ্মা সেতুর কারণে পুরো দক্ষিণ-পশ্চিমা ল একটি কর্মব্যস্ত অর্থনৈতিক করিডোরে রূপান্তরিত হবে। সেতুর আশে পাশে সিঙ্গাপুর ও সাংহাইয়ের মতো আধুনিক নগরী গড়ে উঠবে। সেতুর কাজ শেষ হলে অলিম্পিক সিটিসহ আরো অনেকগুলো পর্যটন আকর্ষণ তৈরি হবে।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে এসব দিক বিবেচনায় নিয়েই তিনি বিশ্ব ব্যাংকের সহায়তা ছাড়াই এই সেতু নির্মাণে প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত সমর্থন করেছিলেন। এই প্রক্রিয়ার ফলে পদ্মা সেতু বাংলাদেশের জাতীয় স্বনির্ভরতার প্রতীকে পরিণত হয়েছে।

ড. আতিউর রহসানের মতে, ‘পদ্মা সেতু চালু হলে শুধু দক্ষিণ-পশ্চিমা ল নয় বরং পুরো দেশেই ব্যাপক ইতিবাচক আর্থ-সামাজিক পরিবর্তন দেখা যাবে।

অনুষ্ঠানে মধ্যে উপস্থিত ছিলেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা এবং ইউনিভার্সিটি অফ এশিয়া প্যাসিফিকের উপাচার্য জাতীয় অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ এবং দৈনিক জনকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক স্বদেশ রায়।