বরিশাল বাস মালিক সমিতি জানায়, তাদের ধারণা, প্রথম পর্যায়ে বরিশাল থেকে ঢাকায় প্রায় অর্ধশত বিলাসবহুল এবং একশ’র মতো সাধারণ বাস চলবে। ধীরে ধীরে সব কোম্পানিই বাস চালু করবে। তবে এখন পর্যন্ত তাদের সঙ্গে শুধু কয়েকটি কোম্পানির বাস মালিকরা যোগাযোগ করেছে।
পদ্মা সেতুকে ঘিরে দিন বদলের স্বপ্ন দেখছে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ। তাদের এই স্বপ্নযাত্রার সারথী হতে চান পরিবহন মালিকরা। কম সময়ে যাত্রীদের দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছে দিতে নামানো হচ্ছে নতুন নতুন বাস। নিরাপদ ও আরামদায়ক যাত্রা পেতে রাখা হচ্ছে বিলাসবহুল বাসে চড়ার সুযোগও।
বরিশাল বাস মালিক সমিতি জানায়, তাদের ধারণা, প্রথম পর্যায়ে বরিশাল থেকে ঢাকায় প্রায় অর্ধশত বিলাসবহুল এবং একশ’র মতো সাধারণ বাস চলবে। ধীরে ধীরে সব কোম্পানিই বাস চালু করবে। তবে এখন পর্যন্ত তাদের সঙ্গে শুধু কয়েকটি কোম্পানির বাস মালিকরা যোগাযোগ করেছে।
পদ্মা সেতু দিয়ে বরিশাল থেকে ঢাকার সায়েদাবাদ পর্যন্ত যাতায়াতের জন্য মে মাস থেকে ইলিশ পরিবহনের দুটি এসি বাস নামানো হয়েছে। সেতু উদ্বোধনের আগ পর্যন্ত এগুলো মাওয়া পর্যন্ত যাত্রী পরিবহন করছে।
এই সপ্তাহেই ইউনিক পরিবহন বরিশালে নিয়ে আসতে চলেছে তাদের বাস। সেতু উদ্বোধন হলেই এগুলো কুয়াকাটা থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত যাত্রী পরিবহন করবে। মাঝে বন্ধ হয়ে যাওয়া গ্রিন লাইন পরিবহনও আবার বাস চালু করবে।
হানিফ পরিবহনের বরিশাল কাউন্টারের ম্যানেজার রানা তালুকদার বলেন, ‘পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের পর পরই নতুন ১০টি বাস যাত্রীসেবায় যুক্ত করা হবে। এর মধ্যে চারটি এসি ও ছয়টি নন-এসি বাস। সবগুলো বাসই বিলাসবহুল। যাত্রীদের সর্বোত্তম সেবা দিতে আমাদের সব চেষ্টা চলছে।’
সাকুরা পরিবহনের পরিচালক হুমায়ুন কবির জানান, এতদিন তাদের কোম্পানির ৭০টি বাস দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া হয়ে ঢাকা থেকে বরিশালে যাতায়াত করত। সেতু চালু হলে এসি বাসের সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। তখন এগুলো কম সময়ে সেতু দিয়ে যাত্রী পরিবহন করবে।
পদ্মা সেতু চালু হলে বরিশাল বিভাগে প্রথমবারের মতো বাস চালু করবে শ্যামলী পরিবহন।
শ্যামলী পরিবহনের ব্যবস্থাপক আফজাল হোসেন বলেন, ‘এই বিভাগে আমাদের কোনো বাস চলাচল করে না। ফেরি পারাপারের কারণে কোম্পানি এতদিন বাস দেয়নি।
‘সেতু চালু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বরিশালের অন্তত ১৪টি রুটে আমাদের বাস দেয়া হবে। বেশিরভাগই নন-এসি হলেও এগুলো বিলাসবহুল বাস। আমরা আশা করছি, তিন থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টার মধ্যে যাত্রীদের বরিশাল থেকে ঢাকায় পৌঁছে দিতে পারব।’
জেলা বাস মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক কিশোর কুমার দে বলেন, ‘সেতু চালুর আগে আমাদেরও প্রস্তুতির বিষয় রয়েছে। দফায় দফায় আমাদের আলোচনায় বসতে হচ্ছে। গত মাস থেকে ইলিশ পরিবহনের দুটি বাস চালু হয়েছে। ইউনিক পরিবহনও প্রস্তুত। গ্রিন লাইনও আবার বাস সার্ভিস চালু করবে।
‘কয়েকদিন আগে শ্যামলী পরিবহন থেকে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। শুনেছি এনা পরিবহনও বরিশাল টু ঢাকা রুটে চলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে তারা এখনও আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি।’
কিশোর আরও বলেন, ‘এখন যেসব কোম্পানির বাস চালু আছে তারাও সেতু চালু হলে নিজেদের বাস বাড়াবে। আমাদের ধারণা, প্রথম পর্যায়ে সব মিলিয়ে ৫০টি বিলাসবহুল বাস চলবে। আমরাও অভ্যন্তরীণ রুটের বাসগুলোকে মানসম্মত করার চেষ্টা করছি।’