‘পদ্মাসেতু উদ্বোধনের দিনেই ট্রেন চলবে’

:
: ৬ years ago

এখনো রেলপথ নির্মাণ কাজ শুরু না হলেও রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক আশাবাদী, উদ্বোধনের দিন থেকেই পদ্মাসেতুতে ট্রেন চলবে।

রাজধানী ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত সরাসরি রেলপথ নির্মাণে ‘পদ্মাসেতু রেল সংযোগ’র কাজ চলতি মাসেই শুরু হবে। ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার রেলভবনে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন রেলমন্ত্রী।

২০১৬ সালের অক্টোবরে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংয়ের বাংলাদেশ সফরে ‘পদ্মা সেতু রেল সংযোগ’ প্রকল্পে অর্থায়নে সমঝোতা স্মারক সই করে দুই দেশ।

৩৪ হাজার ৯৮৮ কোটি ৮৬ লাখ টাকার এ প্রকল্পে ২৪ হাজার ৭৪৯ কোটি টাকা ঋণ দেওয়ার কথা ছিল চীনের। নানা জটিলতায় ঋণচুক্তি না হওয়ায় প্রকল্পের কাজ শুরু হয়নি। প্রকল্প ব্যয় দাড়িয়েছে ৩৯ হাজার ২৫৮ কোটি টাকা। এতে ২১ হাজার ৩৬ কোটি ৭০ লাখ টাকা ঋণ দিতে গত ২৭ এপ্রিল বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সঙ্গে চুক্তি সই করে চীনের এক্সিম ব্যাংক।

সরকারের অগ্রাধিকারের এ প্রকল্পে বাকি ১৮ হাজার ২২২ কোটি টাকা (জিওবি) জোগান দেবে বাংলাদেশ। জিওবি প্রায় আট হাজার কোটি টাকা বাড়লেও, রেলমন্ত্রীরা অভিমত তাতে সমস্যা হবে না।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, পদ্মা রেল সংযোগ অর্থনীতির অগ্রগতিতে ভূমিকা রাখবে। জিডিপি ১ শতাংশ বাড়বে। রেলের ইতিহাসের সর্ববৃৎ এ প্রকল্পের গুরুত্বের কারণে ব্যয় জোগানে সমস্যা হবে না।

২০১৫ সালের ডিসেম্বরে পদ্মাসেতুর মূল অবকাঠামোর শুরু হয়। ২৮ মাসে সেতুর কাজ ৫৮ ভাগ শেষ। সেই তুলনায় অনেক পিছিয়ে পদ্মা রেল সংযোগ প্রকল্পের কাজ। গত ৩১ মার্চ পর্যন্ত প্রকল্প অগ্রগতি মাত্র ১১ শতাংশ।

সরকারের প্রতিশ্রুতি, উদ্বোধনের দিন থেকেই সেতুতে ট্রেন চলবে। রেলমন্ত্রী এখনও আশাবাদী, রেল সংযোগের কাজ পিছিয়ে থাকলেও সরকারের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত হবে।

তিনি বলেন, ‘প্রথম ধাপে ফরিদপুরের ভাঙা থেকে পদ্মাসেতু পার হয়ে করে মাওয়া পর্যন্ত রেললাইন হবে। পদ্মাসেতুর কাজ শেষ হওয়ার আগেই এই অংশটুকু তাড়াতাড়ি শেষ করতে পদক্ষেপ নিয়েছি, চেষ্টা করে যাচ্ছি।’

রেলমন্ত্রী বলেন, সারাদেশকে রেল নেটওয়ার্কের আওতায় আনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। কক্সবাজারে নতুন রেল লাইন নির্মাণ করা হচ্ছে। বরিশালের পায়রা বন্দর পর্যন্ত রেললাইন নির্মিত হবে। বিদ্যমান রেললাইনগুলোকে পর্যায়ক্রমে ডাবল লাইন করা হবে। ১০ টি ইঞ্জিন শিগগির রেলের বহরে যুক্ত হবে। আরও ৭০ টি ইঞ্জিন কেনার প্রক্রিয়া চলছে। ২৭০ টি কোচ (বগি) রেলে যুক্ত হয়েছে, আরও কোচ আনা প্রক্রিয়ায় আছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন রেল সচিব মোফাজ্জেল হোসেন, রেলওয়ের মহাপরিচালক আমজাদ হোসেন,পদ্মা রেল সংযোগের পরামর্শক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল আবু সাঈদ মোঃ মাসুদ, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব জাহিদুল হক।