পটুয়াখালী জেলায় লকডাউন কার্যক্রম স্থগিত

:
: ৪ years ago

আধিক সংক্রমনের ঝুকিতে থাকা পটুয়াখালী জেলা লকডাউন বাস্তাবায়ন নিয়ে শুরু হয়েছে তুঘলঘি কান্ড। লকডাউন বিজ্ঞপ্তি আকারে ঘোষণার একদিন পর ও লকডাউন কার্যকরের একদিন আগেই তা প্রত্যাহার করে নিল স্বাস্থ্য প্রশাসন। প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের এমন দায়সাড়া আচরণে ক্ষুদ্ধ জেলাবাসী।

 

গত মঙ্গলবার ঘোষিত রেডজোন বিন্যাসের কার্যক্রম আজ বুধবার স্থগিত করা হয়। জেলা সিভিল সার্জন মোঃ জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে আজ বুধবার দুপুরে এ তথ্য জানানো হয়েছে গণমাধ্যমকে। গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জোন বিভাযোনের কার্যক্রম জাতীয় টেকনিক্যাল কমিটি কর্তৃক অনুমোদন না আসায় পর্যন্ত মঙ্গলবারের নেয়া সিদ্ধান্ত স্থগিত করা হলো। এ দিকে এম বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর জেলাবাসীদের মধ্যে এক ধরনের সংক্রমন আতংঙ্ক দেখা দিয়েছে।

 

উল্লেখ্য, গত ১৫ দিনে পটুয়াখালী জেলায় লাফিয়ে লাফিয়ে করোনা সক্রমনের ধারাবাহিকতায় করোনা প্রতিরোধে পটুয়াখালী জেলা কমিটি গত ১৪ জুন সভা করে রেডজোন ও ইয়োলোজোন ও গ্রীণ জোনের সুপারিশ করে। সুপারিশের আলোকে গত মঙ্গলবার আবারো সভা করে পটুয়াখালী জেলা সদরসহ সদর উপজেলা ও কলাপাড়ার ১২ টি ওয়ার্ডকে রেডজোন ঘোষণা করা হয়। ইয়োলো জোন করা হয় ১২ টি ওয়ার্ডকে।

 

এ বিজ্ঞাপ্তি জেলা সিভিল সার্জনের স্বাক্ষরিত আকারে গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়। যা আগামি কাল ১৮ জুন সকাল থেকে কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু হটাৎ করে আজ দুপুরে সিভিল সার্জন স্বাক্ষরিত আর একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে মঙ্গলবারে সিদ্ধান্ত বাতিলের কথা বলা হয়।

 

এ ব্যপারে করোনা প্রতিরোধ পটুয়াখালী জেলা কমিটির সভাপতি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট জিএম সরফরাজ’র দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি জানান, জেলা কমিটির সিদ্ধান্ত সুপারিশ আকারে জাতীয় টেকনিক্যাল কমিটি কর্তৃক অনুমোদন নিয়ে লকডাউন করার কথা। সিদ্ধান্ত এখনও আসে নি।

 

সিদ্ধান্ত ছাড়া সিভিল সার্জন কি ভাবে লক ডাউন ঘোষণা করলেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যিনি লকডাউন ঘোষণা দিয়েছেন সেই ভালো বলতে পারবেন।

এ ব্যাপারে সিভিল সার্জনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি কল রিসিভ করেন নি।