পটুয়াখালী ও বরগুনাসহ শ্যুটিং রেঞ্জ পাচ্ছে ৩জেলা

:
: ৬ years ago

শ্যুটারদের জন্য ভালো খবরই দিলো জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। দেশের খেলাধুলার এ অভিভাবক সংস্থাটি প্রথমবারের মতো ঢাকার বাইরে ৫ জেলায় নির্মাণ করে দিচ্ছে শ্যুটিং রেঞ্জ।

ময়মনসিংহ, রংপুর, পটুয়াখালী, বগুড়া ও বরগুনায় রেঞ্জ নির্মাণের জন্য ৯ কোটি ৫০ লাখ টাকার ‘জেলা পর্যায়ে শ্যুটিং রেঞ্জ নির্মাণ’ নামের একটি প্রকল্পও অনুমোদন হয়েছে। ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে রেঞ্জ নির্মাণ কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সহকারী পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) সুকুমার সাহা।

রেঞ্জ নির্মাণের জন্য সবচেয়ে বেশি ২ কোটি ২০ লাখ টাকা বরাদ্দ হয়েছে ময়মনসিংহের জন্য। এখানে নির্মাণ করা হবে ৫০ ও ২৫ মিটার রেঞ্জ। ২ কোটি ১০ লাখ টাকায় রংপুরের তৈরি করা হচ্ছে ৫০ ও ১০ মিটার রেঞ্জ। ১ কোটি ৭০ লাখ টাকা ব্যয়ে পটুয়াখালীতে তৈরি করা হবে ২৫ ও ১০ মিটার রেঞ্জ। বগুড়ায় হবে শুধু ১০ মিটার রেঞ্জ। এ জেলার জন্য বরাদ্দ ১ কোটি ৪০ লাখ টাকা। বরগুনায় ১ কোটি ৯৮ লাখ টাকায় তৈরি হবে ৫০ ও ১০ মিটার রেঞ্জ।

স্থানীয় রাইফেল ক্লাবগুলোই জায়গার ব্যবস্থা করে দিয়েছে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ বিল্ডিং ও টার্গেট ওয়াল তৈরি করে দিচ্ছে। রাইফেল ক্লাবগুলো নিজেদের মতো করে বানিয়ে নেবে আনুষঙ্গিক সবকিছু। জায়গার পরিমাণের ওপর ভিত্তি করেই একেক জেলায় তৈরি হচ্ছে একেক মাপের রেঞ্জ।

জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সাবেক তারকা শ্যুটার এবং কমনওয়েলথ শ্যুটিংয়ে স্বর্ণজয়ী সাবরিনা সুলতানা। ‘দেশের অনেক জেলায় রেঞ্জ নেই। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের এ উদ্যোগে রেঞ্জের সংখ্যা বাড়বে। তাতে নতুন নতুন শ্যুটার তৈরি হবে। আমি বলবো দেশের শ্যুটিংয়ের জন্য ভালো খবর এটি’-বলেছেন সাবেক এ তারকা শ্যুটার।

বাংলাদেশ শ্যুটিং স্পোর্ট ফেডারেশনের মহাসচিব ইন্তেখাবুল হামিদ অপু বলেছেন, ‘প্রায় আড়াই বছর আগে রেঞ্জ নির্মাণের জন্য এই ৫ জেলা নির্ধারণ করে দিয়েছিলাম। অনেক সময় লাগলো কাজ শুরু করতে। তারপরও বলবো, দেরিতে হলেও ভালো একটা কাজ হবে। প্রথমবারের মতো জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের মাধ্যমে জেলা পর্যায়ে রেঞ্জ নির্মাণ হচ্ছে।’

তবে এ ৫ জেলা রেঞ্জ নির্মাণেই থেমে থাকতে চায় না শ্যুটিং স্পোর্টস ফেডারেশন। ‘পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন জেলায় এভাবে রেঞ্জ নির্মাণের জন্য আমরা প্রস্তাব দেবো জাতীয় ক্রীড়া পরিষদকে। আমাদের যে ক্লাবগুলো আছে বিভিন্ন জেলায় তাদের চিঠি দিয়েছি, জায়গা থাকলে তার বিরবরণ দিতে। যারা আগ্রহ দেখাবে তাদের মধ্যে থেকে আমরা আরো ৫ জেলা বেছে নিয়ে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদকে জানাবো। তারপর জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ সব কিছু যাচাই-বাছাই করে সিদ্ধান্ত নেবে।’-বলেছেন বাংলাদেশ শ্যুটিং স্পোর্ট ফেডারেশনের মহাসচিব ইন্তেখাবুল হামিদ অপু।

গুলশানের জাতীয় শ্যুটিং কমপ্লেক্স ছাড়া জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ নির্মিত শ্যুটিং রেঞ্জ নেই। অনেক আগে নিজস্ব উদ্যোগে তৈরি নারায়ণগঞ্জ শ্যুটিং রেঞ্জটি বছরখানেক আগে সংস্কার ও উন্নয়ন করে দিয়েছিল সংস্থাটি। প্রায় প্রতিটি জেলায় রাইফেল ক্লাব থাকলেও অনুশীলনের জন্য রেঞ্জ নেই বেশিরভাগ জায়গায়।

কুষ্টিয়া, পাবনা, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, পটুয়াখালী ছাড়া অন্য জেলার শ্যুটাররা সেভাবে অনুশীলনের সুযোগই পাননা। এভাবে পর্যায়ক্রমে শ্যুটিং সম্ভাবনাময় জেলাগুলোতে রেঞ্জ নির্মাণ করে দিলে তাতে খেলাটির আরো উন্নতি হবে বলেই মনে করেন শ্যুটিং সংশ্লিষ্টরা।