পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে জমি দখলের সময় দেশিয় অস্ত্রসহ আটক ৭

লেখক:
প্রকাশ: ৫ years ago

জমি দখল করতে গিয়ে দেশিয় অস্ত্রসহ সাত জনকে ভূমিদস্যুকে আটক করেছে মির্জাগঞ্জ থানা পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলার রামপুর গ্রামে।

 

জমি দখল ও ঘর ভাংচুরের ঘটনায় পুলিশ ওই এলাকার মৃতঃ কাদের শিকদারের ছেলে মোঃ সোহরাব শিকদারসহ ৭ ৭জনকে আটক করেছে বলে জানাগেছে।

 

এসময় পুলিশ তাদের কাছ থেকে দেশীয় অস্ত্র রামদা, বগিদা ও লাঠি উদ্ধার ও একটি ট্রলার জব্দ করেছে। আটককৃতরা হলেন, ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী পার্শ্ববর্তী দুমকি উপজেলার উত্তর পাঙ্গাশিয়া গ্রামের সোহেন মোল্লার ছেলে জলিল মোল্লা (৩২), একই গ্রামের আব্দুল হালিম মোল্লার ছেলে সজিব মোল্লা (২৩), মির্জাগঞ্জ উপজেলার রামপুরা গ্রামের জাহাঙ্গীর সিকদারের ছেলে গোলাম রাব্বি (১৯), দুমকির পঙ্গাশিয়া গ্রামের আব্দুল হালিম মোল্লার ছেলে শফিক মোল্লা (২০), একই গ্রামের শাজহাজান মোল্লার ছেলে জামাল মোল্লা (৩০) ও দুমকির লেবুখালী এলাকার আব্দুর রব হাওলাদারের ছেলে মো. মাসুম হাওলাদার (২০)।

 

স্থানীয় সুত্রে জানাগেছে, পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলার রামপুর গ্রামের বারেক হাওলাদার, জলিল হাওলাদার, ও কাদের হাওলাদার তিন ভাইয়ের মোট ৯ শতাংশ জমি জোর করে ভোগ দখলের চেষ্টা চালিয়ে আসছিলো একই এলাকার মোঃ সোহরাব সিকদার। স্থানীয়রা জানায়, রোববার সকালে সোহরাব সিকদার পাঁটি ট্রলারে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ জন সন্ত্রাসী বিভিন্ন এলাকা থেকে ভাড়া করে আনে।

 

এসময় তারা বাকের হাওলাদারের জমিতে থাকা ঘর ভাংচর করে। পরে স্থানীয়রা সোহরাব সিকদারের তান্ডবের কথা মির্জাগঞ্জ থানায় অবহিত করলে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে দেশীয় অস্ত্রসহ সোহরাব সিকদারকে আটক করে। এসময় তার সাথে থাকা আরো ৭জন সন্ত্রাসীকে আটক করে। বাকিরা পুলিশের ভয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।

 

মির্জাগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শাহ আলম বলেন, ‘জমি দখল নিতে একটি ট্রলার যোগে ভাড়া করা সন্ত্রাসী নিয়ে রামপুর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রশিদ হাওলাদারের ছেলে আব্দুল বারেক হাওলাদারের জমি দখল করতে যায়। তারা আব্দুল বারেক হাওলাদারের বসতঘর ভাংচুর করে এবং তছনছ করে।

 

খবর পেয়ে থানা পুলিশ স্থানীয়দের সহযোগিতায় অভিযান চালিয়ে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীসহ ওই সাতজনকে আটক করে। পাশাপাশি ট্রলার থেকে দা, লাঠি, করাত ও হাতুরীসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার এবং সন্ত্রাসী কাজে ব্যবহৃত ট্রলারটি জব্ধ করা হয়েছে। রাতে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ভুক্তভোগী আব্দুর বারেক হাওলাদার বাদী হয়ে আটককৃতদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছেল।

 

ভুক্তভোগীদের মধ্যে কাদের হাওলাদারের ছেলে সাইদফুল হাওলাদার জানান, রোববার সকাল ৯টার দিকে ট্রলারে করে বাড়িতে অনেক লোক নিয়ে হাজির হয় সোহরাব সিকদার।

 

এলাকাবাসী সুত্রে আমরা জানতে পারি তারা পটুয়াখালা ও বাকেরগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা থেকে সন্ত্রাসীদের ট্রলারে করে নিয়ে এসেছে। তাদের হাতে ধরালো অস্ত্র ছিলো।

 

ভয়ে আমরা কেউ সামনে যেতে পারিনি। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের আটক করে। তিনি অভিযোগ করে বলেণ, সোহরাব শিকদার এলাকায় চিহিৃত ভূমিদস্যু হিসেবে পরিচিত। তিনি প্রশাসনিক ক্ষমতা দে;খিয়ে দিনের পর দিন সাধারন মানুষকে জিন্মি করে তাদের জমি জমা দখল করেনিয়েছে। আমাদের রেকডিয় জমি দখল করার জন্য হামলা , মারধরও হুমকীও প্রদান করে।