পটুয়াখালীর গ্রামাঞ্চলে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান

লেখক:
প্রকাশ: ৫ years ago

“চলবো মোরা একসাথে, জয় করবো মানবতাকে” প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে পটুয়াখালী ইয়ুথ পাওয়ার নামক স্বেচ্ছাসেবক সংগঠনের উদ্যোগে দক্ষিনাঞ্চলের উপকূলীয় জেলা পটুয়াখালীর বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের দ্বারা অসহায় এবং গরিব রোগীদের বিনা মূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান করেছেন।

 

সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করে জানা গেছে, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটি পটুয়াখালী জেলার বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলের প্রায় ৪০০-৫০০ জনের মতো রোগীকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান করেছেন। বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদানের অংশবিশেষ শুক্রবার (১৭ জানুয়ারী) পটুয়াখালীর খারিজ্জমা বাজারে সংগঠনটির কাযর্ক্রম পরিচালনা করতে দেখা গেছে। এক্ষেত্রে রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদানের প্রতিটি কার্যক্রমে সহায়তা করছেন পটুয়াখালী সিটিজেন হেল্থ কমপ্লেক্স।

 

অসহায় এবং দুস্থদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদানের ব্যাপারে সংগঠনটির উপদেষ্টা আসাদুজ্জামান খান জনি উল্লেখ করেন, পটুয়াখালী জেলায় এখনও এমন কিছু গ্রাম রয়েছে যেখানের বাসিন্দারা চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে না। শীতে অসহায় মানুষের সেবাদানে বিভিন্ন সংগঠন শীতার্তদের জন্য কম্বল বিতরন করেছেন, কিন্তু গ্রামঞ্চলের অসহায় মানুষ শীত মৌসুমে ঠান্ডা জনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয় সে ব্যাপারে কেও নজর রাখে না।

 

তাই ব্যাতিক্রমী উদ্যোগের অংশ হিসেবে তিনি এই বিনামুল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদানের কাযর্ক্রম হাতে নিয়েছেন। উক্ত সংগঠনটির বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদানের অংশবিশেষ গতকাল বৃহস্পতিবার পটুয়াখালীর খারিজ্জমা বাজারে সংগঠনটির কাযর্ক্রম পরিচালনা করতে দেখা গেছে। এক্ষেত্রে রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদানের প্রতিটি কাযর্ক্রমে সহায়তা করছেন পটুয়াখালী সিটিজেন হেল্থ কমপ্লেক্স।

 

চিকিৎসা সেবা প্রদানকারী ডাক্তার মিঠুন চন্দ্র হাওলাদার বলেন, অসহায় মানুষেরা চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। গ্রামাঞ্চলের মানুষ অনেকে শহরে এসে চিকিৎসা সেবা নিতে পারছে না। তাই অসহায় এবং দুস্থদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান করাকে তিনি মহৎ কাজ বলে মনে করেন। ইতিমধ্যে তিনি তিনটি উপজেলায় প্রায় ৩০০ রোগীর বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান করেছেন এবং ভবিষ্যতেও তিনি প্রতিটি উপজেলায় যেখানে চিকিৎসা সেবা পৌঁছাচ্ছে না সেখানে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান করবেন বলে উল্লেখ করেছেন।

 

এ ব্যাপারে খারিজ্জমা ডিগ্রী কলেজের অধ্যাপক বলেন, বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদানের মাধ্যমে গরীব দুস্থরা সহায়তা পাচ্ছেন। সংগঠনটির এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকলে গ্রাম অঞ্চলের মানুষ অনেকটা সুবিধা ভোগ করবে এবং চিকিৎসা সেবা নিয়ে তারা সুস্থ থাকতে পারবে বলে উল্লেখ করেন।

 

চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রফিক উদ্দিন বলেন, “আমার বয়স ৭০ ছাড়িয়েছে। এই বয়সে পটুয়াখালী শহরে গিয়ে কিভাবে ডাক্তার দেখাবো? তোমরা ডাক্তার এনেছ তাতে ভালোই হইছে। ডাক্তার দেখাইতে পারছি।

 

এছাড়াও চিকিৎসা সেবা প্রদানের এমন মহৎ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন বিশিষ্ট মহল। সংগঠনটির ভবিষ্যতে এমন কার্যক্রম অব্যাহত থাকলে গরিব দুস্থ মানুষের উপকার হবে বলে মনে করেন তারা।