পটুয়াখালীতে ৮ মণ চালের দামের সমান একটি ইলিশ!

:
: ৫ years ago

নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর ২৪ জুলাই থেকে শুরু হয়েছে ইলিশ ধরার উৎসব। একমাসে জেলেদের জালে প্রচুর ইলিশ মাছও ধরা পড়েছে। তবে বাজারে এই মাছের দাম সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে।

তেমন চিত্র ধরা পড়ল পটুয়াখালী নিউ মার্কেট মাছ বাজারে।

সরেজমিন অনুসন্ধানে দেখা যায়, আট মণ চালে একটি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে সেখানে। যার একটি দুই কেজি ৩০০ গ্রাম, আরেকটি দুই কেজি ২০০ গ্রাম এবং অপরটি এক কেজি ৮০০ গ্রাম ওজনের। এ তিনটি ইলিশের প্রতি কেজি দাম হাঁকা হয়েছে তিন হাজার ৫০০ টাকা। সে হিসেবে সবচেয়ে বড় সাইজের ইলিশটির দাম হাঁকা হয় আট হাজার ৫০ টাকা। এর পরের সাইজের ইলিশটি সাত হাজার ৭০০ টাকা এবং সবচেয়ে ছোট সাইজের ইলিশটির দাম হাঁকা হয় ছয় হাজার ৩০০ টাকা। যা আট মণ চালের মূল্যের সমান।

আজ শনিবার (২৪ আগস্ট) দুপুর দেড়টা পর্যন্ত এ ইলিশ তিনটি বিক্রি হয়নি বলে জানিয়েছেন বিক্রেতা মো. হারুন অর রশিদ মৃধা।

মো. হারুন অর রশিদ জানান, এ ইলিশ তিনটি শুক্রবার বিকেলে গুলিশখালী এলাকা সংলগ্ন পায়রা নদীতে জেলেদের জালে ধরা পড়ে এবং সেখান থেকে শুক্রবার সকালে অনেক চড়া দামে মাছ তিনটি কিনে আনেন তিনি। পায়রা নদীর ইলিশ সুস্বাদু হওয়ার কারণে অন্যান্য নদী বা সাগরের ইলিশের চেয়ে দাম একটু বেশি হয়ে থাকে এবং ক্রেতারাও চড়া দাম দিয়ে পায়রার ইলিশ কিনেও নেয়।

এদিকে বিশাল আকৃতির এ ইলিশ মাছটি দেখার জন্য উৎসুক ক্রেতারা বাজারে ভিড় জমিয়েছে। কিন্তু বিক্রেতার মুখে মাছের দাম শুনে সরে পড়েন ক্রেতারা। এতো দাম দিয়ে ইলিশ কিনতে কারও সাহস হয়নি। ফলে এ ইলিশ তিনটি এখনও অবিক্রিতই রয়ে গেছে।

উৎসুক ক্রেতারা বলেন, এ মাছটি আমরা কিনতে পারব না।

নিউ মার্কেট মাছ বাজারের বিক্রেতারা জানায়, বিভিন্ন সময়ে নদী ও সাগরে ইলিশ শিকারের ওপর সরকারের নিষেধাজ্ঞা থাকে। এতে জেলেরা সব সময় ইলিশ শিকার করতে পারেনি। এর ফলেই মূলত নদী ও সাগরে এতো বড় বড় সাইজের ইলিশ ধরা পরে জেলেদের জালে।