টুয়াখালীর দশমিনায় রিপন মোল্লা (২৭) নামে উপজেলা ছাত্রলীগের এক নেতা ও তার মা-বোনসহ ৪ জনকে বেদম পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠিয়েছে ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড যুবলীগের নেতাকর্মীরা।
রোববার বেলা পৌনে ১১টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের আরজবেগী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহতদের উদ্ধার করে দশমিনা হাসপাতালে ভর্তি করেছেন স্বজনরা। আহতদের মধ্যে দুজনের মাথা ফেটে যাওয়ায় তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
আহত ছাত্রলীগ নেতা রিপন অভিযোগ করে জানান, উপজেলার সদর ইউনিয়নের আরজবেগী গ্রামের ৬নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি মো. রেজাউল করিম রিন্টুর সঙ্গে তার বাবা বারেক মোল্লার প্রায় ৯০ শতাংশ জমি নিয়ে ৪ বছর ধরে বিরোধ চলে আসছিল।
ওই বিরোধের সূত্র ধরে রিন্টু, আজিজ মোল্লা ও ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মোফাজ্জেল চৌধুরীসহ ১০-১২ জন বিরোধপূর্ণ জমি দখল করতে গেলে রিপনের পরিবার বাধা দেয়।
জমি দখলে বাধা দিলে রিপন, তার মা মোসা. সমীরন্নেছা (৫৪), বোন স্বপ্না (৩০) ও দুলাভাই আতাহার হাওলাদারকে (৫৫) দা এবং রড দিয়ে বেগম মারধর করা হয়।
পরে আহতদের উদ্ধার করে স্বজনরা দশমিনা হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। আহতদের মধ্যে দুজনের মাথা ফেটে যাওয়ায় তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
অভিযোগের বিষয়ে ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি মো. রেজাউল করিম রিন্টু বলেন, হামলার ঘটনা সত্য নয়। উল্টো রিপন আমার ওপর হামলা করেছে।
দশমিনা থানার ওসি মো. জসিম জানান, মামলা প্রক্রিয়াধীন। আসামি গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।