পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কালিশুরী ইউনিয়নের পোনাহুড়া নেছারিয়া ফাজিল মাদ্রাসায় অফিস সহকারী নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অনিয়মের প্রতিবাদে নিয়োগ প্রার্থীরা শুক্রবার মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (প্রশাসন) মো. সাইদুল ইসলামকে অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ করেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সম্প্রতি ওই মাদ্রাসায় অফিস সহকারী পদে নিয়োগের জন্য আবেদনপত্র আহবান করা হয়। ওই পদে নিয়োগ পাওয়ার জন্য মোট ২৬ জন প্রার্থী আবেদন করেন। শুক্রবার মাদ্রাসা মিলনায়তনে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন অধিদপ্তরের প্রশাসন শাখার উপ-পরিচালক মো. সাইদুল ইসলাম।
মোট ১২ জন প্রার্থী নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সাইদুল ইসলাম পরীক্ষার ফলাফল বিশ্লেষণ করে আবদুল্লাহ আল মামুন প্রথম হয়েছেন বলে নাম ঘোষণা করেন। আবদুল্লাহ আল মামুন মাদ্রাসার গর্ভনিং বডির সভাপতি মোশারেফ মল্লিকের নাতি।
এরপরই অন্য নিয়োগ প্রার্থীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। ফলাফল ঘোষণার পর তারা হইচই শুরু করেন। টাকার বিনিময়ে মামুনের নাম ঘোষণা করা হয়েছে বলে নিয়োগ প্রার্থীরা দাবি করেন।
আবদুল জব্বার নামে একজন প্রার্থী বলেন, আমি পরীক্ষায় প্রথম হয়েছি। অথচ নাম ঘোষণা করা হয়েছে মামুনের। শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সাইদুল ইসলাম মোটা অংকের টাকা নিয়েছেন। আমরা উত্তরপত্র দেখতে চেয়েছি। কিন্তু তাৎক্ষণিক তিনি আমাদের উত্তরপত্র দেখাননি।
এদিকে শুক্রবার জুমার নামাজের পর প্রায় আধাঘণ্টা শিক্ষা কর্মকর্তার গাড়ি অবরুদ্ধ করে রাখেন নিয়োগ প্রার্থীরা। পরে মামুনের নিকটাত্মীয় স্থানীয় কতিপয় প্রভাবশালীর হস্তক্ষেপে ওই শিক্ষা কর্মকর্তা মুক্ত হয়ে ঢাকায় ফিরে যান।
এ ব্যাপারে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মুহা. হাবিবউল্লাহ বলেন, স্বচ্ছভাবে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। যারা অকৃতকার্য হয়েছে তারা ক্ষুব্ধ হয়ে শিক্ষা কর্মকর্তার সঙ্গে অসদাচরণ করেছেন।
তিনি বলেন, নিয়োগ পরীক্ষা জেলা শহরে আয়োজন করতে পারতাম। স্বচ্ছতা, প্রার্থীদের সুবিধা ও তাদের মনের সন্দেহ দূর করার জন্য মাদ্রাসা মিলনায়তনে নিয়োগ পরীক্ষার আয়োজন করেছি।