#

পটুয়াখালীর দশমিনায় তালপাকা গরম ও হালকা হাওয়ায় দোল খাচ্ছে দিগন্তজুড়ে সবুজ আমন ধানের ক্ষেত। চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলনের আশা করছেন এ উপজেলার কৃষকরা।

বুধবার সকালে সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বিগত বছরগুলোতে আমন মৌসুমে প্রবল বৃষ্টি আর বন্যার সাথে লড়াই করে আমন ধান চাষ করলেও এবারের চিত্র ভিন্ন।

মৌসুমের শুরুতে বন্যার প্রভাব পড়েনি। চারা রোপণের পর পরই দফায় দফায় বৃষ্টি আর রোপণকৃত ধানের চারা কৃষকের নিবিড় পরিচর্যায় দ্রুত বেড়ে ওঠছে। সবুজে ছেয়ে গেছে মাঠজুড়ে সব ধানের ক্ষেত। আর দিগন্তজুড়ে সবুজের মাঝেই উঁকি দিচ্ছে কৃষকের সোনালী স্বপ্ন।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবার চলতি রোপা আমন মৌসুমে ১৮ হাজার ৪২৫ হেক্টর লক্ষ্যমাত্রা আর অর্জন ১৮ হাজার ৫০০ হেক্টর। এর মধ্যে ব্রি ধান-১১, ২৩, ৫২ ও ৮৭ উপজেলার কৃষকরা উফসী ৭০ ভাগ ধান চাষাবাদ করছেন।

কৃষকরা জানান, গত বছরের তুলনায় এ বছর বৃষ্টিপাতের হার কম হওয়ায় ক্ষেতে সেচ দিয়ে ধানের চারা রোপণ করতে হয়েছে। এখন অবশ্য দুই একদিন পর যা বৃষ্টি হচ্ছে তাতে ক্ষেতের অবস্থা ভালোই দেখা যাচ্ছে।

উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ দাস পাড়া গ্রামের কৃষক মজিদ হাওলাদার, জামাল হোসেন, সংকর চন্দ্র ও জামাল মৃধা বলেন, কৃষি অফিসের পরামর্শে আমন ধানের বীজ বপন ও চারা রোপণ করেছি। জমিতে চারা রোপনের আগে ও পরে তেমন বৃষ্টি বৃষ্টি হয়নি। আশা করি বিগত বছরগুলোর চেয়ে এবার বেশি ফসল ঘরে তুলতে পারবো।

উপজেলার বহরমপুর ইউনিয়নের বগুড়া গ্রামের কৃষক ইউনুছ তালুকদার, সালাম মিয়া, নষা মিয়া ও খলিল তালুকদার বলেন, ‘প্রায় ছয় একর জমিতে আমন ধানের আবাদ করেছি। আমরা নিজেরাই ক্ষেতের পরিচর্যা করি। এ বছর আবহাওয়া চাষের অনুকূলে থাকায় ধান ক্ষেতের চেহারা যথেষ্ট ভালো। আশা করছি, ফলনও ভালো হবে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাফর আহম্মেদ বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকার কারণে রোগবালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমণ না থাকায় ক্ষেতের অবস্থা বেশ ভলো। এতে করে ধানের ফলন ভালো হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কৃষকরা লাভের স্বপ্ন দেখছেন।

উত্তর দিন

Please enter your comment!
এখানে আপনার নাম লিখুন