সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানের সবচেয়ে আলোচিত ঘটনা হচ্ছে ধর্ষণ এবং হত্যা। প্রায় প্রতিদিনই গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ ধরনের বিভিন্ন ঘটনা দেশবাসীর নজরে আসছে। দ্রুততম সময়ের মাঝে ঘটনার রহস্য উদ্ধসঢ়;ঘাটন এবং জড়িতদের গ্রেফতারে র্যাব সবসময় জোরালো ভূমিকা পালন করে
আসছে।
পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া থানার আলোচিত গৃহবধু গণধর্ষণ মামলার বাদীকে আসামী গং কর্তৃক পিটিয়ে হাত পা ভেঙ্গে দেয়ার মামলার আসামী (১) মোঃ শাকিল মৃধা(২৭), পিতা-ইমদাদ মৃধা, সাং-চর চাপলী, থানাঃ মহিপুর, জেলা-পটুয়াখালী,(২) মোঃ রবিউল ভূইয়া(২৫), পিতা-জহিরুল ভূইয়া, সাং-পশ্চিম চাপলী, থানাঃ মহিপুর, জেলা- পটুয়াখালী, (৩) মোঃ রবিউল হাওলাদার(৩৫), পিতা-জাহাঙ্গীর হাওলাদার, সাং-চর চাপলী,
থানাঃ মহিপুর, জেলা-পটুয়াখালী, (৪) মোঃ সাইফুল ইসলাম(২৫), পিতা-জহিরুল ইসলাম, সাং-চর চাপলী, থানাঃ মহিপুর, জেলা-পটুয়াখালীকে গ্রেফতার করে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায় যে, অভিযুক্ত আসামীগণ গত ১৫ এপ্রিল ২০১৯ তারিখ রাতে মোঃ সিদ্দিক
হাওলাদারকে অস্ত্রের মুখে বেঁধে রেখে তার স্ত্রীকে বাড়ী থেকে তুলে নিয়ে রাতভর পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে তাদের নামে মামলা হলে তারা জেল হাজতে যায় এবং জেল থেকে জামিনে এসে গত ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখ উক্ত গণধর্ষণ মামলার বাদী মোঃ সিদ্দিককে, রাত ৯.০০ ঘটিকার দিকে ধূলাশার ইউনিয়নের চাপলী বাজারে আসামী শাকিল মৃধা সহ আরও ৮/১০ জন ব্যক্তি পিটিয়ে হাত পা ভেঙ্গে দেয় এবং আতœগোপন করে।
পরবর্তীতে র্যাব-৮, বরিশাল এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখ আনুমানিক সকাল ৬.৩০ ঘটিকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, পটুয়াখালী জেলার সদর থানাধীন নতুন বাজার সংলগ্ন পানামা হোটেল এর ৫ম তলায় কিছু ব্যক্তি মাদকসহ অবস্থান করছে যারা উক্ত মামলারও আসামী। প্রাপ্ত সংবাদের ভিত্তিতে র্যাবের আভিযানিক দলটি ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখ সকাল ৭.০০ ঘটিকায়
কৌশলগতভাবে ঘটনাস্থলের সন্নিকটে পৌছলে র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর চেষ্টাকালে র্যাব সদস্যরা ঘেরাও পূর্বক ০৪(চার) জন ব্যক্তিকে আটক করে। আটককৃত ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদে তারা উপরে বর্ণিত নাম ও ঠিকানা প্রকাশ করে। পরবর্তীতে স্থানীয় জনসাধারণের উপস্থিতিতে আসামী (১) মোঃ শাকিল মৃধা(২৭), এর রুমের ভিতর তোষকের নিচ থেকে ০১ (এক)টি বিদেশী পিস্তল, ০১ (এক) টি ওয়ান শুটার গান, ১২ (বার)
রাউন্ড এ্যামোনিশন ও ৩৯০ (তিনশত নব্বই) পিস গোলাপি রংয়ের ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার
করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা মারামারির ঘটনা সম্পৃক্ততা স্বীকার করে। ডিএডি
মোঃ দেলোয়ার হোসেন বাদী হয়ে পটুয়াখালী জেলা মহিপুর থানায় অস্ত্র ও মাদক দ্রব্য
নিয়ন্ত্রণ আইনে পৃৃথক মামলা দায়ের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। ভবিষ্যতে র্যাবের এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।