পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের কলাগাছিয়া গ্রামে আদালতের নিষেধাজ্ঞা রায় অমান্য করে জমি দখল করে ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। স্থানীয় ভূমীদস্যু নিজামুল হক কুদ্দুস সিকদার দুর্বৃত্তদের সহায়তায় দখল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে। এ ঘটনায় পটুয়াখালী আদালতে ৪০১/১৮, ১২৭/১৯ দুইটি মামলা করা হয়েছে। এ ঘটনার ন্যায্য বিচার চেয়ে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসকের বরাবর আবেদন করা হয়েছে।
জমির মালিক মোসাঃ জোসনা বেগম জানান,কাগজ পত্রে তফসিল ভুক্ত সম্পত্তি আমাদের রেকর্ডীয়। উক্ত সম্পত্তি ৩টি খতিয়ানে ভিন্ন ভিন্ন ব্যক্তির নামে ০.৯৭ শতাংশ সম্পত্তি রেকর্ডভুক্ত হয়। খতিয়ান ৩টি হল ৫২৬, ৪২৭, ৫২০ দাগ নং-৫৬৯১, ৫৬৯২ সম্পত্তিতে নিয়মিত খাজনা পরিশোধ করে ১২ বছরের উর্ধ্বে বাড়ি ঘর নির্মান করিয়া, পুকুর কাটিয়া বাগান তৈরি করিয়া পরিবার পরিজন নিয়া ভোগ দখল করিয়া আসিতেছে।
উক্ত খতিয়ানের ৫৬৯২ নং দাগ হইতে ২০ শতাংশ জমি ০১নং খতিয়ানে অর্ন্তভুক্ত হয়। পরবর্তীতে আমরা পরে জানিতে পারি যে, ভূমিহীনদের অনুকূলে অনুমোদিত কেস ২৬৬৩/২০০৬-০৭ এর মাধ্যমে (বিশ্বাসপুর আবাসন) এর পরিবর্তে উপরোক্ত খতিয়ানে আমাদের রেকর্ডীয় সম্পত্তি ৫৬৯১ থেকে ২০ শতাংশ এবং ৫৬৯২ নং দাগ থেকে ৪০ শতাংশ ভূমি একুনে ৬০ শতাংশ ভূমিদস্যু নিজামুল হক কুদ্দুস সিকদার অফিসকে ভুল বুঝাইয়া মিথ্যা তথ্য দিয়ে ভূমিহীনদের তালিকায় নিজের নাম লিপিবদ্ধ করাইয়া আমাদের রেকর্ডীয় সম্পত্তি হইতে ৪০ শতাংশ ভূমি বন্দোস্ত নিয়ে রেজিষ্ট্রি করেন এবং কিছু জমি অবৈধভাবে জোর পূর্বক দখল নিয়া বালু দিয়া ভরাট করিয়া প্রল্ট আকারে বাচ্চু হাওলাদার এর নিকট বিক্রি করে এবং আমাদের রেকর্ডীয় সম্পত্তির মধ্যে আদালতের রায়কে অমান্যকরে ঘর উঠায়।
নিজামুল হক কুদ্দুস সিকদার ও বাচ্চু হাওলাদার সহ দখলকারীরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র লাঠি, কুড়াল, কোদাল নিয়ে জমিতে প্রবেশ করে। এ সময় জমিতে থাকা গাছ ও ফসল ধংস করে। এতে প্রায় দুই থেকে আড়াই লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। পাশাপাশি ভূমিদস্যুরা জমির মালিককে হত্যার হুমকি দেয়।
আদালতের ২৯/১/২০ তারিখ এ জারিকৃত স্থিতিবস্থার রায় এভাবে অমান্য করে অবৈধভাবে দখলের ঘটনায় এলাকার বিশিষ্টজনেরা হতবাক। জমির মালিক মোঃ মতলেব মৃধা, আতাউল্লাহ সিকদার, গোলাম মোস্তফা বলেন, এখন আমরা খুবই নিরাপত্তাহীন অবস্থায় আছি। এমনকি দখলকারী সন্ত্রাসীরা নিজেদের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে আমার উপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে।
এ বিষয়ে নিজামুল হক কুদ্দুস সিকদার কাছে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি পুরোপুরি অস্বীকার করেন।
স্থানীয় কলাগাছিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ দুলাল চৌধুরি বলেন, জায়গাটা খাস তবে আমি জানি কোন বন্দোবস্ত জমি ৯৯ বছরের আগে বিক্রি করিতে পারিবে না। নিজামুল হক কুদ্দুস সিকদার জায়গা প্লট আকারে বিক্রি করে এবিষয় আমি কিছু জানিনা।